প্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক জুড়ে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রায় পুরোটা জুড়েই ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তির চিত্র। কঠোর লকডাউনের ঘোষনার পর থেকেই বাড়তে থাকে ঘরমুখী মানুষের চাপ। দূরপাল্লার বাস না পেয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস দেখলেই দৌড়ে আসছেন যাত্রীরা। বাসের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়াও যাত্রা করছেন অনেকে। কেউ একটু কমের আশায় তপ্ত রোদে দীর্ঘ অপেক্ষা। আবার কেউ কেউ পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের দিকে পা বাড়িয়েছেন।

মঙ্গলবার(১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই ভোগান্তির শুরুটা গাবতলী বাস টার্মিনাল। পরে সাভারের আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, সাভার বাস স্ট্যান্ড, নবীনগর, ধামরাইসহ পুরো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে।

আবার বাড়তি ভাড়াও কেউ আবার পুরো পথ যেতে পারছেন না। গাবতলী থেকে সাভার হয়ে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত ভেঙে ভেঙে যেতে পারলেই ঘাট পেরুলে অন্য ব্যবস্থা হবে। তবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে কখন পৌছাবে তার কোন নিশ্চিয়তা নেই। তবুও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঝুঁকি ও ভোগান্তি ফিরছেন বাড়ি।

যাত্রীরা দলবেধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন প্রাইভেটকারের সামনে যদি ওঠার সুযোগ পান এই আশায়। গাবতলী থেকে প্রাইভেটকার ড্রাইভার মানিকগঞ্জ বা পাটুরিয়া পর্যন্ত ভাড়া হাকাচ্ছেন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা করে। আবার বরিশালের উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসের ভাড়া জন প্রতি দুই হাজার টাকা।

ছবি: তপ্ত রোদে পরিবহনের অপেক্ষায় একটি পরিবার

মোটরসাইকেল চালকেরাও ট্রিপ দিচ্ছেন সাভার, নবীনগর বা মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে। পাটুরিয়া পর্যন্ত তারা ভাড়া চাইছেন হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।

জীবন জীবিকার তাগিদে এক সময়ে স্বপ্নের রাজধানীতে পাড়ি জমালেও অনিশ্চয়তা নিয়েই গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছেন। তার মধ্যে নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যাই বেশি। আবার স্বপ্নের শহরে ফিরতে পারবে কিনা? জানা নেই। কেউ কেউ বলছেন, না হলে গ্রামেই কাজ জোগাড় করে থেকে যাবো। এমন অনিশ্চিয়তা আর ভালো লাগে। এরচেয়ে কম আয় নিয়ে কষ্ট হলেও পরিবারের সঙ্গেই থাকবো।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close