দেশজুড়ে

দশমিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ হাজার শিক্ষার্থী উপবৃত্তি বঞ্চিত!

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দশমিনা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ২৪০ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৪৫টি স্কুলে ১৬ হাজার ২৮৭ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও উপবৃত্তির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১০ হাজার ৪৭ জন শিক্ষার্থীর। বাকি ৬ হাজার ২৪০ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এই উপবৃত্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে প্রতি তিন মাস অন্তর শ্রেণি ওয়ারী টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। ভর্তি ও উপবৃত্তি তালিকা প্রস্তুত করতে জন্মনিবন্ধন জরুরি দরকার হলেও মোক্ষম সময়ে সার্ভার সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়েছে ভুক্তভোগীরা।

উপজেলার ২২ নং মধ্য গুলি আউলিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রহমান, ১৩১ নং মধ্য আরজবেগী শিকদারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুল হক ও ৩৫ নং চরহোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আ. রমিম ইত্তেফাককে জানান, বিদ্যালয়ে সরকারি সুবিধা (উপবৃত্তি) পাওয়ার উপযুক্ত শিক্ষার্থী থাকলেও জন্মনিবন্ধন জটিলতায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদে’ উপবৃত্তির রেজিস্ট্রেশন আটকে যায়। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের সানি চন্দ্র জানান, তার মায়ের মৃত্যু সনদ নিতে ইউনিয়ন পরিষদে গত আট মাস ধরে যোগাযোগ করলেও সার্ভারে সমস্যাজনিত কারণ দেখিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

দশমিনা সদর ও চর বোরহানসহ দুটি ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা ইউপি সচিব মু. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধনে সার্ভার আপগ্রেড করায় নতুন এক্সেসকোড ও পাসওয়ার্ড দরকার হয়ে পড়েছে, জেলা প্রশাসন সার্ভার এক্সেস আইডি ও পাসওয়ার্ড করে দিচ্ছে, আগামী রবিবার থেকে আর সমস্যা থাকবে না’। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার এবং তথ্য ও অভিযোগ শাখা) হাসান মোহাম্মদ শোয়াইব সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘জন্ম এবং মৃত্যু সনদ প্রদানে আরো দ্রুতগতির সেবা দিতে সার্ভার আপগ্রেড করা হয়েছে, সার্ভার এক্সেসকোড ও পাসওয়ার্ড খুলে দেওয়ার কাজ চলছে, দুই-একদিনের মধ্যে আর কোনো সমস্যা থাকবে না’।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস জানান, ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম এবং মৃত্যু সনদ বের করার জন্য একই আইডি ব্যবহার হয়, কিছুদিন পর্যন্ত সার্ভারে সমস্যার কারণে কোনো সনদ দেওয়া যাচ্ছে না, জেলা পটুয়াখালীতে কথা হয়েছে কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close