শিক্ষা-সাহিত্য

ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে যৌন হয়রানি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে যৌন হয়রানির নানা ধরনের নির্যাতনের প্রতিবাদে বাগেরহাট মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে ৮ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা বারোটার দিকে শহরের মুণিগঞ্জে ম্যাটসের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে নামে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি বন্ধ করা, স্টাফদের দিয়ে পরীক্ষার হলে গার্ড দেওয়া বন্ধ করা, অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া পুরুষ স্টাফদের ছাত্রী হোস্টেলে প্রবেশ বন্ধ করা, ক্যাম্পাসের ভেতরে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা, প্রতিষ্ঠানের উচ্চমান সহকারী শেখ মহিউদ্দিন, প্রতিষ্ঠানের ভান্ডার রক্ষক খান ফয়সাল রাতুল, অফিস সহায়ক মো. বাবুল হোসেন, বাবুর্চি আবু হানিফ ও নৈশ প্রহরী আব্দুল হামিদকে বদলি করা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ম্যাটসে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা এখানকার স্টাফদের হাতে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে যৌন হয়রানির নানা ধরনের নির্যাতন করা হয়। বিশেষ করে চার পাঁচজন স্থানীয় স্টাফদের অত্যাচারে শিক্ষার্থীরা ভীত সন্ত্রস্ত থাকেন।

ম্যাটসের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুর রকিব বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সঙ্গে একমত। অভিযোগ পেয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. সমীর কুমার পালকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এই কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. সমীর কুমার পালকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ম্যাটসের জুনিয়র লেকচারার ডা. নাঈমা ফেরদৌস, ডা. সুখরঞ্জন দাস ও মেডিকেল অফিসার শেখ রিয়াদুজ জামান।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাতাব উদ্দীন বলেন, ম্যাটসের শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সোমবার রাতেই সবাই হলে ফিরে যায়। আজ (মঙ্গলবার) তারা অভিযোগ ওঠা স্টাফদের দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে আবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে বলে শুনেছি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close