জীবন-যাপন

দয়ালু হলে আয়ু বাড়ে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: গবেষণায় মিলেছে, মানুষের প্রতি দয়া বা সহানুভূতি বেশি দেখালে নাকি আয়ু বাড়ে। এমনই তথ্য দিয়েছে লসঅ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বেদারি কাইন্ডনেস ইনস্টিটিউট।

অবশ্য অনেকে বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করলেও এর শতভাগ জবাব দিতে প্রস্তুত লসঅ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বেদারি কাইন্ডনেস ইনস্টিটিউট।

প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড্যানিয়েল ফেসলার জানিয়েছেন, মনস্তত্ত্ব, শরীরবিদ্যা এবং ইতিবাচক সামাজিক মিথষ্ক্রিয়া নিয়ে কাজ করছি। আমরা বিষয়টির বৈজ্ঞানিক দিকটি দেখতে চাই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মানুষ একটু ভালো ব্যবহার পেলে, একটু উৎসাহ পেলে অনেক ভালো কাজ করতে পারে, অনেক বড় বাধা অতিক্রম করতে পারে।

গত মাসে প্রবীণ ডেমোক্র্যাট এলিজা কামিংসের মৃত্যুর পর সেখানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক ভাষণে বলেছিলেন, শক্ত মানসিকতার বা শক্তিশালী মানুষ হওয়ার জন্য দয়ালু হতে হয়। জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক এলেন ডিজেনেরাসও কিছু দিন আগে জর্জ ডব্লিউ বুশের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বে’র বিষয়ে বলেছিলেন, দয়ালু মানে সবার প্রতি দয়া বা সহানুভূতিশীল হওয়া।

বিশেষজ্ঞরা এটি বিশ্লেষণ করে দেখছেন এবং তাদের মতে এটি মানুষের জীবনমৃত্যুর মতো জরুরি।

ফেসলারের গবেষণার বিষয় হলো, কীভাবে দয়া ও সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে মানুষকে আরও দয়ালু ও সহানুভূতিশীল হতে উৎসাহিত করা যায়। এখন সময়টি অনেক নির্দয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্বে ব্যক্তিপর্যায়ে এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে ক্রমাগত সংঘাত বাড়ছে।

ফেসলার মনে করেন, মানুষ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রাসী আচরণ করে, অন্যের মতামতের মূল্য কম দেয়। কাইন্ডনেস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য বেদারি ফাউন্ডেশন দুই কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। যেকোনো ব্যক্তিকে সাহায্য করা এবং এ কাজের জন্য নতুন নেতা তৈরি করাই এই ইনস্টিটিউটের প্রধান উদ্দেশ্য।

দয়ালু জীবনের জন্য কিছু টিপস-

১. পাশের মানুষটির কথা মন দিয়ে শুনুন

২. কর্কশ আচরণের জবাব দয়ালু মনোভাব দিয়ে দিন।

৩. নির্দয় আচরণ পেলে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাবেন না। ভাবার চেষ্টা করুণ এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close