দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

ধর্ষণ-হত্যার দায় স্বীকার আসামিদের, দেড় মাস পর জীবিত উদ্ধার হলো মৃত কিশোরী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আসামির জবানবন্দি দেয়ার দেড় মাস পর জীবিত উদ্ধার হলো কথিত মৃত কিশোরী। নারায়ণগঞ্জে ঘটেছে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা। আসামির পরিবারের অভিযোগ, টাকা না দেয়ায় জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা। গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হন নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী। বাবার দায়ের করা অপহরণ মামলায় একমাস পর একই এলাকার রকিব, আবদুল্লাহ ও খলিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

দুই দফা রিমান্ড শেষে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিন আসামি।

রোববার (২৩ আগস্ট) পরিবারের কাছে ফিরে আসে ও কিশোরী। স্বজনদের দাবি, এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে মেয়েটি। সন্তানকে ফিরে পাওয়ায় এখন আর কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই বাবা-মায়ের।

তাহলে কেন আসামিরা ধর্ষণ এবং হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করলেন? আসামিদের পরিবার বলছেন, মামলায় ফাঁসিয়ে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।

আসামি আবদুল্লাহর মা শিউলি বেগম বলেন, আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চেয়েছিল, কিন্তু এত টাকা আমি কীভাবে দেব? তারপর আমার থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়েছে।

পুলিশ বলছে, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রকৃত ঘটনা জেনে আমরা ব্যবস্থা নেব।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়ার বিধানটি প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close