দেশজুড়েশিল্প-বানিজ্য

নতুন অর্থবছরের সম্ভাব্য বাজেট ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিটি বাজেটই রেকর্ড ভেঙেছে। এবার তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেটেও এর ব্যতিক্রম হবে না। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর বাজেটের আকার চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে আসন্ন অর্থবছরে বাজেটের আকার বাড়ছে ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।

সম্ভাব্য বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা বেশি। বাজেটের এই ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎসের ঋণই মূল ভরসা। এ ঋণ ব্যাংকিং খাত ও সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে। এছাড়া নতুন বাজেটে সম্ভাব্য মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা (জিডিপির ১৩.১ শতাংশ)। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) খাতে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা (জিডিপি’র ৬ দশমিক ৮ শতাংশ) ধরা হয়েছে।

আসন্ন বাজেটে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও মূল্যস্ফীতির চাপ ৫.৫ শতাংশে আটকে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’ শিরোনামের খসড়া বাজেট প্রস্তাব বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম বাজেট।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবার বাজেট ঘোষণার আগে চমকের কথা বলা হলেও নতুন বাজেট, পুরনো কাঠামো হওয়ায় বাজেট প্রস্তাবের পর কোনো চমক দেখা যায় না। দেশে এমনিতে অর্থনীতির আকার বাড়ছে। বাজেটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সম্পদের পুনর্বণ্টন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আয় বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। এই লক্ষ্য পূরণে প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার বাড়ছে। কিন্তু কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বাজেট পুরোপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই বলা যায় আসছে বাজেটও হবে গতানুগতিক বা ভারসাম্যপূর্ণ একটি বাজেট।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য শামসুল আলম বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা আছে। তাই সরকারের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা একই রকম। এজন্য বাজেটে নতুনত্ব খোঁজা ঠিক হবে না। বাজেটে সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করা। এটি এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশে উন্নীত করতে হলে রাজস্ব খাতে ব্যাপক হারে সংস্কার করতে হবে। আগামী অর্থবছর থেকে নতুন ভ্যাট আইনের সফল বাস্তবায়ন প্রয়োজন। প্রয়োজন ব্যাংক খাতের সংস্কার। এজন্য বাজেটে একটি দিকনির্দেশনা থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close