দেশজুড়ে

শেষ মুহূর্তে টুপি-আতরের দোকানে ভিড়

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। নগরীর পাড়া-মহল্লা থেকে অলি-গলিতে এখন ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। শেকড়ের টানে পরিবার আর আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন। ইতিমধ্যে কেনাকাটা সেরে ফেলেছেন অনেকে। ঈদ প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে এখন নগরীর দোকানগুলোতে জমে উঠেছে আতর, সুরমা, টুপি ও জায়নামাজ বিক্রির ধুম।

রোববার বিকেলে রংপুর নগরীর কেরামতিয়া জামে মসজিদ, কোর্ট মসজিদ ও সিটি মসজিদের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে এসব পণ্যের বিক্রি জমে উঠেছে। নগরীর পায়রা চত্বর, কাচারি বাজার, জাহাজ কোম্পানি, সিটি বাজারের সামনে, টাউন হলের সামনে, সদর হাসপাতাল, সুরভী উদ্যান, স্টেশন আলমনগর, হনুমানতলা ইসলামপুর, সালেক মার্কেট সংলগ্ন ফুটপাত, লালবাগ, মডার্ন মোড়সহ বিভিন্ন ফুটপাতের ওপর টেবিল বসিয়ে চলছে টুপি, আতর ও জায়নামাজ বেচাকেনা।

বিক্রেতারা জানান, ঈদের নামাজের প্রস্ততি হিসেবে ক্রেতারা এসব পণ্য ক্রয় করছেন। চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত।

রংপুর সিটি বাজারের আরাফাত টুপি ও আতর বিতাণের স্বত্বাধিকারী হাফেজ মো. সাদেকুল ইসলাম জানান, দুবাইয়ের মাউয়াজ ট্রেডিং এলএলসি হলো তাদের মূল ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। সেখান থেকেই আনা হয়েছে আতর। এর পাশাপাশি এই দোকানে আরও কয়েক দেশের আতর রয়েছে। এর মধ্যে বস, স্যানেল, গুছি, টমি, পোলো ও এরাবিয়ান উদ অন্যতম। এছাড়া জান্নাতুল ফেরদৌসসহ আছে বেলি, রজনীগন্ধ্যা, হাসনাহেনা, জুঁইসহ নানান ফুলের সুগন্ধি আতর।

তিনি আরও জানান, বিশেষ করে দুবাই, ভারত,সৌদি আরব ও ফ্রান্সের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আতরের এবার কদর বেশি। এমন হরেক পদের শিশির দাম পড়বে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯ হাজার টাকা।

দোকানে আতর কিনতে আসা ক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি ঈদে এখানে আব্বুর সঙ্গে আতর কিনতে আসি। এবার একাই এসেছি। এখানে ভালো মানের আতর পাওয়া যায়, দামও হাতের নাগালে।

এদিকে, কেরামতিয়া জামে মসজিদের সামনের দোকানগুলোতে পাকিস্তানি ও ভারতীয় সুরমার পাশাপাশি মিলছে দেশি সুরমা। রয়েছে অ্যালকোহলমুক্ত দেশি ও বিদেশি সুরমাও। পাকিস্তানি হাশেমি সুরমা ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায়, রতিফ সুরমা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকায়, ভারতীয় খোজতি সুরমা ৬০ টাকা মোমিরা ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আর দেশি সুরমা দানিসহ ৬০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এখানে দুবাই, তুরস্ক,পাকিস্তান ও সৌদি আরবের জায়নামাজ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দেশি জায়নামাজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৩০ টাকায়। আর বিভিন্ন তসবিহ ৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর টার্মিনাল জামে মসজিদের সামনে আতর-টুপি বিক্রিতা হাফেজ মাহবুব জানান, ঈদের নামাজে পাঞ্জাবির সঙ্গে রং বেরঙের টুপি পরতে পছন্দ করেন শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণরা। এ কারণে টুপির চাহিদা বেড়ে যায় দ্বিগুণ।

কাশ্মীরি, জর্দানি ও জিন্নাহ টুপিসহ সাদা কাপড়ের সুতির টুপি ৫০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এর পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের ফুটপাত ও ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতেও বিভিন্ন রংয়ের টুপি একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close