দেশজুড়ে

নিজেদের নেতাকে হত্যার দায়ে ৩ জেএমবির মৃত্যুদণ্ড

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেএমবি নেতা রহুল আমীন ওরফে সালমান হত্যা মামলায় তিন জেএমবি সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শওকত আলী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। নিহত জেএমবি নেতা ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার আসগর আলীর ছেলে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্যরা হলেন, জেলার নাচোল থানার চানপাড়া এলাকার মৃত. এরশাদ আলী ছেলে সানোয়ার, গোমস্তাপুর উপজেলার বালুগ্রাম রাজারামপুর এলাকার মৃত. কুদ্দুসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও একই উপজেলার বালুগ্রাম দক্ষিণটোলা এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস শুকুর।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, গোমস্তাপুর উপজেলার বোগলা গোপালনগর এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সামসুল হক, একই উপজেলার চকপুস্তম এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও নিমতলা এলাকার মাহাতাবের ছেলে শামীম এবং নওগাঁর মান্দা থানার শিবনগর এলাকার ইয়াসিন আলীর ছেলে আব্দুল মোতাকাব্বির ওরফে ফাহিম। রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সানোয়ার পলাতক রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আঞ্জুমান আরা বলেন, জেএমবির অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের জেরে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে সালমানকে হত্যা করা হয়। নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের খোলসি বোরিয়া গ্রামের একটি আমবাগানে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে গোমস্তাপুর উপজেলার মহানন্দা নদীর ধাইনগর ঘাট এলাকায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়। পরে সালমানের দেহ ও নদীর ঘাট থেকে মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নাচোল থানা পুলিশের এসআই আনিসুর বাদী হয়ে ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নাচোল থানা পুলিশের এসআই গৌতম চন্দ্র মালী সাতজনকে আসামি করে ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়ে এ মামলার রায় দেন বিচারক।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close