বিশ্বজুড়ে

ন্যাটোয় যোগদান নিয়ে তুরস্কের হুমকি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদানের বিষয়ে তুরস্কের সম্মতি পেতে দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক শর্তে একমত হতে হবে বলে আঙ্কারায় বৈঠকে জানিয়েছেন মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন। গতকাল বুধবার (২৫ মে) ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের মুখপাত্রদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমনটা জানান।

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের কূটনীতিকদের সঙ্গে তুরস্কের আলোচনায় ন্যাটো দেশ দুটোর যুগ্ম আবেদনের বিষয়ে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় কথা হয়েছে।

ন্যাটোয় যোগ দিতে এর ৩০টি সদস্যদেশেরই ভোট প্রয়োজন। তুরস্ক হুমকি দিয়েছে, তারা এ প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করবে, যদি-না তাদের বিবেচনায় সন্ত্রাসী দলগুলোকে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন নিষেধাজ্ঞা দেয়।

কালিন আরও বলেন, ‘তুরস্কের নিরাপত্তা ইস্যুর সমাধান ছাড়া ন্যাটোর সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া সামনে এগোতে পারে না। ন্যাটো একটি নিরাপত্তামূলক সংগঠন এবং এর সদস্যদেশগুলোর নিরাপত্তা সমানভাবে মেটাতে হবে।’

ন্যাটোয় ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের যোগদানের জন্য দেশ দুটিকে তুরস্কের ওপর অস্ত্র রফতানির নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা ছাড়াও কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি ও গুলেন আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দেশ থেকে সরাতে হবে বলে জানিয়েছে আঙ্কারা। পিকেকে-কে যেহেতু ফিনল্যান্ড ও সুইডেন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, সেহেতু সিরিয়ায় ওয়াইপিজি ও পিওয়াইডি-কেও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার দাবি করেছে তুরস্ক।

আঙ্কারা বলছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকদের আশ্রয় দিয়েছে সুইডেন। যাদের মধ্যে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য থেকে শুরু করে ফেতুল্লাহ গুলেনের লোকজনও আছে। ২০১৬ সালে এরদোগানের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানচেষ্টার জন্য ফেতুল্লাহ গুলেনের সম্পৃক্ততাকে দায়ী করা হয়েছে।

এর আগে এরদোগান বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের হামলা থেকে সীমান্ত রক্ষার সংবেদনশীলতা আমাদের আছে। কুর্দিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ন্যাটো মিত্ররা কখনোই তুরস্ককে সহায়তা করেনি। ন্যাটোর সম্প্রসারণ শুধু সম্মানের জায়গা থেকে আমাদের কাছে অর্থবহ।’

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি জানিয়েছে, ৩৩ ব্যক্তির প্রত্যর্পণে সুইডেন সাড়া না দিলে ন্যাটোয় সুইডেনের আবেদনে সায় দেওয়া হবে না।

তবে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদান সফল হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কীভাবে আঙ্কারার আপত্তিকে অগ্রাহ্য করবেন–প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘দুই নর্ডিক দেশের ন্যাটোয় যোগদানে আমরা সায় দিতে যাচ্ছি।’

এরদোগানের প্রধান পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ইব্রাহীম কালিন বলেন, তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ সুরাহা করতে বাস্তবিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরই শুধু তাদের ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার চেষ্টা সফল হতে পারে। খবর রয়টার্স।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close