আমদানি-রপ্তানীপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

পণ্যজটে চট্টগ্রাম বন্দর

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য অলস পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি না নেয়ায় আটকে আছে পণ্যভর্তি প্রায় সাত হাজার কনটেইনার।

জমে থাকা পণ্য নিলামে বিক্রি করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস হাউস চিঠি চালাচালি করলেও রহস্যজনক কারণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি নেই। এ অবস্থায় চলমান ডলার সংকট নিরসনে নতুন করে আমদানির পরিবর্তে এসব পণ্য দ্রুত ছাড় করার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম বন্দরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে নিলাম করার মতো উপযোগী সাড়ে চার হাজারের বেশি পণ্য ভর্তি কনটেইনার অলস পড়ে রয়েছে।

এর মধ্যে ৮২ হাজার ৪৩৬ মেট্রিক টন আমদানি পণ্য রয়েছে। এ ছাড়া আরও ১০ হাজার ৮১২ মেট্রিক টন খোলা পণ্য রয়েছে বন্দরের শেডে।

নিয়ম অনুযায়ী আমদানি করার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পণ্য ছাড় না করালে নিলামের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ চিঠি দেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে। প্রতি মাসেই রুটিন করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে যাচ্ছে কাস্টমসের কাছে। কিন্তু নানা জটিলতায় শেড ও ইয়ার্ডেই নষ্ট হচ্ছে পণ্য।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘কাস্টম থেকে যেসব পণ্য খালাস হয়, সেগুলো নিয়ে জটিলতা থাকতে পারে। তবে আমরা চাই পণ্যজট না হয়ে দ্রুত পণ্য খালাস হোক।’

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপকমিশনার মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, কাজগুলো স্বল্পমেয়াদি নয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এতে সময় লাগে।

আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কহার আদায়সহ নানা জটিলতায় প্রতি বছরই হাজার হাজার কোটি টাকার আমদানি পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ধ্বংস করে ফেলতে হয়। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিতের পাশাপাশি আমদানি খরচ খাতে বিপুল পরিমাণ ডলার চলে গেছে।

ডলারের সংকট মোকাবেলায় ৬৮ ধরনের বিলাসবহুল পণ্যের উপর শুল্কহার বাড়িয়েছে সরকার। এ অবস্থায় বন্দরে পড়ে থাকা পণ্য দ্রুত ছাড়ের পাশাপাশি সরাসরি নিলামে বিক্রির কথা বলছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘একজন মানুষ আমদানি করে পণ্য এনে কেন পণ্য নিচ্ছে না এটা খতিয়ে দেখা দরকার। এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচিত সুষ্ঠু তদন্ত করা।’

তবে আগামী ৭ ও ৮ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস বেশকিছু পণ্য নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে গার্মেন্টপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, গাড়ি ও ফল রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close