দেশজুড়ে

প্রণোদনা বদলে ১৫ দফার বাস্তবায়ন চান প্রবাসীরা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রবাসীদের জন্য প্রথমবারের মতো সরকারের থেকে রেমিটেন্স প্রেরণে প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা করার পর প্রবাসীদের পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ দিলেও ভিন্নমত পোষণ করছেন বেশিরভাগ প্রবাসীরাই। তাদের দাবি ‘আমরা ২০ টাকা চাই না, আমাদের এয়ারপোর্ট হয়রানিসহ অন্যান্য হয়রানি বন্ধ করা হোক এবং ন্যূনতম মূল্যায়ন করা হোক’। প্রসঙ্গত, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

বিশ্বের নানা দেশ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছিলেন প্রবাসীরা। সেইসঙ্গে প্রবাসের বিভিন্ন বাংলাদেশি কমিউনিটির সংগঠনও এই দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। ওমানে বাংলাদেশ কমিউনিটির সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন ‘চট্টগ্রাম সমিতি ওমান’-এর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এই দাবিগুলো পেশ করেছেন সংগঠনের সভাপতি ইয়াসিন চৌধুরী সিআইপি।

সংগঠনটির করা দাবিগুলো হলো: 

১) এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

২) দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবাসীদের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। সেবার মান বাড়াতে হবে। জবাবদিহিতা থাকতে হবে।

৩) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীকে অবশ্যই প্রবাসীদের থেকে নিয়োগ দিতে হবে। কারণ একজন প্রবাসী বুঝবেন আরেকজন প্রবাসীর সুখ-দুঃখ।

৪) প্রবাসীরা বিদেশে মারা গেলে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে দূতাবাসের মাধ্যমে মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

৫) প্রবাসীদের নিয়ে নাটক সিনেমা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল করে ভিডিও বানানো বা কুরুচিপূর্ণ কথা বলা বন্ধ করতে হবে। এমন কিছু তৈরি করা যাবে না যা প্রবাসীদের অনুভূতিতে আঘাত হানে।

৬) প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা যাতে দেশে হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার না হন সেজন্য পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।

৭) পার্সপোট অফিসে হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং দালাল মুক্ত পাসপোর্ট অফিস করতে হবে। দূতাবাসগুলোতে যত দ্রুত সম্ভব পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

৮) বিদেশে নিরপরাধ জেল বন্দিদের সরকারি খরচে দেশে নিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৯) প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

১০) প্রবাসীদের জন্য কোঠা রাখতে হবে এবং প্রবাসীদের ছেলে মেয়েদের জন্য স্কুল-কলেজে বিশেষ সুযোগ দিতে হবে।

১১) যেকোনো প্রবাসী ২০ বছর প্রবাসে কাটানোর পর দেশে ফিরলে তাকে সরকারের পক্ষ থেকে মাসিক ভাতা প্রদান করতে হবে।

১২) যে সকল প্রবাসী টাকার অভাবে বিদেশে চিকিৎসা করতে পারছেন না তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে বা বিদেশে সরকারি খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

১৩) অসুস্থ অসহায় প্রবাসী রোগীদের বাংলাদেশ বিমানে বিনা খরচে দেশে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

১৪) প্রবাসীদের দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড প্রদান করতে হবে।

১৫) প্রবাসীদের বাংলাদেশের যেকোনো নির্বাচনে দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close