ধামরাইপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

প্রেমের টানে ৬ কিশোর-কিশোরী ধামরাই থেকে উধাও

ধামরাই প্রতিবেদকঃ করোনার ছোবল থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধ। এইসময়ে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের অভাব হলেও সহপাঠীদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো ঠিকই। এই যোগাযোগের মাধ্যমেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ধামরাইয়ের তিন জোড়া কিশোরী ও কিশোরের। বিয়ের জন্য তারা ৬ জনই একসাথে ঘর ছেড়ে চলে যায় চট্টগ্রাম।

রোববার (১৪ মার্চ) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পরিদর্শক তদন্ত কামাল হোসেন। এর আগে গত শুক্রবার তারা আটক হয় পুলিশের হাতে। শনিবার তাদের অভিভাবক চট্টগ্রাম থেকে তাদের নিয়ে আসেন।

এদের মধ্যে ৫ জনের বাড়ি ধামরাইয়ের বড়কুশুরিয়া গ্রামে। অন্যজনের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে। করোনার ছুটিতে সে ধামরাইয়ের ওই গ্রামে খালার বাসায় বেড়াতে এসেছিল। তারা পঞ্চম ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা গ্রাম থেকে বিয়ের জন্য পালানো ৬ জনের এক জন ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে ঠিক হয়। তবে একই এলাকার নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীর সাথে ছিল তার প্রেমের সম্পর্ক। সিদ্ধান্ত নেয় তারা দুজনই পালিয়ে বিয়ে করবে। এই সিদ্ধান্তের কথা বান্ধবী জানলে তারা যোগ দেয় পালিয়ে বিয়ের জন্য।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে তাদের সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এসময় এক জুটি তাদের স্বামী স্ত্রী দাবি করলে সন্দেহের মাত্রা বেড়ে যায় পুলিশের। তবে বাকিরা বন্ধু-বান্ধুবী পরিচয় দিলেও তাদের থানায় নেয় পুলিশ। পরে জানা যায়, তারা সবাই ধামরাই থেকে পালিয়ে বিয়ে করার জন্য চট্টগ্রাম যায়। তাদের কাছে বিয়ের শাড়ি ও কসমেটিকসও পায় পুলিশ। পরে অভিভাবকদের হাতে তাদের তুলে দেয় পুলিশ।

কিশোর ও কিশোরীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে ৬ হাজার টাকা নিয়ে সবাই একযোগে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় যায়। পরে বিকেলের ট্রেন ধরে রাতে পৌঁছে যায় চট্টগ্রামে। এদের মধ্যে কুমিল্লার লাকসামের কিশোরী এর আগে চট্টগ্রামে গিয়েছিল। তার সিদ্ধান্তেই সবাই চট্রগ্রামে যায়। উদ্দেশ্য ছিল তার আত্মীয়ের দোকান বন্দরটিলায় যাওয়ার। তবে সেখানে গিয়ে আত্মীয়ের দোকান খুঁজে না পাওয়ায় অটোরিকশা চালকের সহায়তায় ৭০০ টাকা ভাড়ায় এক নারীর বাসায় রাত কাটায় তারা। তবে তাদের প্রায় সব টাকা ফুরিয়ে যায়। অবশিষ্ট কিছু টাকা দিয়ে গ্রামে ফেরার পরিকল্পনা করে তারা। এজন্য ট্রেন স্টেশনে গেলে সেখানেই ধরা পড়ে তারা।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) নোবেল চাকমা জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তর মহানগরের প্রবেশন অফিসার ফারুমা বেগমের উপস্থিতিতে কিশোর-কিশোরীদের অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close