দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় শাস্তি পেলেন সারওয়ার আলম

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে তিরস্কার সূচক লঘুদণ্ডের শাস্তি পেয়েছেন র‌্যাবের একসময়ের আলোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।

বর্তমানে তিনি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। পদোন্নতি না পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করার দায়ে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে এ দণ্ড দিয়েছে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সারওয়ার আলম ২৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

১২ বছরের বেশি সময় ধরে প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত থাকলেও পদোন্নতি হয়নি সারওয়ার আলমের। ‘পদোন্নতিবঞ্চিত’ হওয়ায় গত বছরের ৮ মার্চ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন সারওয়ার আলম।

সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘চাকরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাদের বেশিরভাগই চাকরি জীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়।’

সারওয়ার আলমকে দণ্ড দেয়ার আদেশে বলা হয়, একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে সরকার ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করার মাধ্যমে তিনি অকর্মকর্তাসুলভ আচরণ করেছেন। এতে জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এরপর এ বিষয়ে তদন্ত হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে সারওয়ার আলম তার ফেসবুকে আইডিতে সেই মন্তব্যটি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন এবং অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য তাকে ‘তিরস্কার’সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ মার্চ প্রশাসনের ৩৩৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার। এতে বিসিএসের ২৭তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের ২৪০ জনকে (ইকোনমিক ক্যাডার বিলুপ্ত হওয়ায় প্রশাসন ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হওয়া কর্মকর্তাসহ) পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু ২৭তম ব্যাচের মেধাতালিকায় সামনের দিকে সিরিয়াল থাকলেও মো. সারওয়ার আলমকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close