দেশজুড়ে

বন্ধের পথে ঢাকার হালকা প্রকৌশল কারখানা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার শিল্প ইউনিটের মধ্যে সূত্রাপুর, লালবাগ, কোতোয়ালি, ওয়ারীসহ পুরান ঢাকার আশপাশের এলাকায় অবস্থান ৫ থেকে ৬ হাজার ছোট-মাঝারি-হালকা প্রকৌশল কারখানা। গেল কয়েক বছরে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পুরান ঢাকার এসব এলাকার অনেক হালকা প্রকৌশল (লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং) কারখানা। ছোটখাটো কারখানা যারা টিকে আছে তারাও খুব একটা ভালো নেই।

আমদানি করা পণ্যের দাপটে টিকে থাকতে হিমসিম খাচ্ছে দেশীয় শিল্প। একদিকে চীনা পণ্যের আগ্রাসনে অর্ডার কম। অন্যদিকে বড় পুঁজি না থাকায় বিদেশি পণ্যের সঙ্গে পাল্লা-দিয়ে টিকে থাকতে আধুনিক প্রযুক্তি কারখানাও গড়ে তুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় সম্ভাবনাময় এ খাতের ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন সরকারের দীর্ঘ মেয়াদি নীতি সহায়তা বলে জানান শিল্প মালিক সমিতি।

বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের এখানে যদি সরকার সেই ধরনের বিনিয়োগ না করে। তা হলে তো চলবে না। শুধু সুযোগ দিলেই হবে না, অবকাঠামো উন্নয়ন সহ সুদ ছাড়া লোন দিতে হবে। এবং বিদেশ থেকে উন্নত প্রযুক্তি আমদানি করার সুযোগ দিতে হবে।

হালকা প্রকৌশল শিল্পের অভ্যন্তরীণ বাজার অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকার। এ শিল্পে প্রায় ৬ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। হালকা প্রকৌশল কারখানাগুলো বছরের পর বছর আমদানির বিকল্প যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ উৎপাদন করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করেছে। তেমন কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়া যোগ করেছে নতুন আবিষ্কারও। অথচ এখন বাজার সয়লাব আমদানি পণ্যে। পাল্লা দেয়ার মত আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রে বিনিয়োগের মূলধন নেই বেশিরভাগ কারখানার। তারওপর মরার ওপর খাঁড়ার ঘা কাঁচামালে মূল্য সংযোজন কর।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের প্রডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছেন লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পজাত পণ্যকে। শিল্পমালিক সমিতি বলছে, শিল্প মন্ত্রণালয় তাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করছে। শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে শিল্প সুরক্ষায় এই উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। দেশেই তৈরি করা যায় এমন যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আনা বন্ধ করা না গেলে ছোট কারখানা আরো বন্ধ হয়ে যাবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close