দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
তথ্য গোপনের অভিযোগ: মন্তব্য নেই তাবিথের
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে হলফনামায় সিঙ্গাপুরে কোম্পানি থাকার তথ্য গোপনের যে অভিযোগ একটি সংবাদমাধ্যম তুলেছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী।
তবে টিআইবি মনে করছে, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের খতিয়ে দেখা উচিত।
সুইডেনভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেত্র নিউজের এক প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেডের মালিকানায় রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই কোম্পানির তিনজন মালিক ও পরিচালকের একজন তাবিথ। অপর দুজন তার দুই ভাই তাসফির আউয়াল ও তাজওয়ার আউয়াল।
২০০৮ সালে সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেডের এক হাজার শেয়ারের ৩৪০টি শেয়ার রয়েছে তাবিথের, তার দুই ভাইয়ের প্রত্যেকের হাতে আছে ৩৩০ শেয়ার করে। সিঙ্গাপুরের একজন নাগরিক আছেন চতুর্থ মালিক হিসেবে, তবে তার হাতে কোনো শেয়ার নেই। তাবিথ আউয়ালরা তিন ভাই-ই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক পরিচয়ে সিঙ্গাপুরে এই কোম্পানির নিবন্ধন নিয়েছেন।
এর পক্ষে প্রমাণ হিসেবে তারা একটি দলিল তুলে ধরেছে, যাকে সিঙ্গাপুরের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড করপোরেট রেগুলেটরি অথোরিটির (এসিআরএ) নথি বলা হচ্ছে।
ওই নথি অনুযায়ী, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবারসহ কিছু পণ্যের ব্যবসা করে এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড। এছাড়া বিভিন্ন জ্বালানি কোম্পানিতেও বিনিয়োগ রয়েছে তাদের।
কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পদের পরিমাণ ২১ লাখ ৪৩ হাজার ২৬৭ মার্কিন ডলার। তাদের দেনা রয়েছে ২৬ লাখ ২৭ হাজার ১৯৪ মার্কিন ডলারের।
বাংলাদেশ পেট্রোকেমিকেল কোম্পানি লিমিটেড-বিপিসিএলে এই কোম্পানির ‘বড় শেয়ার’ রয়েছে, এর প্রতিনিধি হিসেবেই তাজওয়ার আউয়াল বিপিসিএএলের পরিচালনা পর্ষদে আছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে তাবিথ আউয়াল নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেছেন। ওই কোম্পানিগুলোর মধ্যে এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেডের নাম নেই।
তাবিথ কিছু না বললেও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের খোঁজ-খবর নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, “হলফনামায় যদি তিনি সম্পদের বিবরণ গোপন করেন, তবে তা নির্বাচনী আচরণবিধির লংঘন। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব অভিযোগ খতিয়ে দেখা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
“সম্পদের বিবরণীতে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু না থাকলে তা খতিয়ে দেখা দুর্নীতি দমন কমিশনের এখতিয়ার, একইসঙ্গে তা নির্বাচনের কমিশনেরও এখতিয়ার।”
/আরএম