আমদানি-রপ্তানীপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থানঃ বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে একশটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পৃথিবীর অনেক দেশ এরই মধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে।

সোমবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরানের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বাণিজ্যের পরিমাণ খুব বেশি না হলেও তুরস্কে বেশি রফতানি করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পাট পণ্যের বড় ক্রেতা তুরস্ক। গত বছরও দুইশ মিলিয়নের বেশি মূল্যের পাট পণ্য তুরস্কে রফতানি করা হয়েছে।

বাণিজ্য জটিলতার কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক প্রদান করতে হচ্ছে, ফলে কিছু সমস্যা হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সমস্যা চিহ্নিত করে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা হলে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তুরস্কের সঙ্গেও বাংলাদেশের জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন রয়েছে। এ কমিশনকেও কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের আইসিটি, ওষুধ এবং তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করলে তুরস্ক লাভবান হবে।

তিনি বলেন, কীভাবে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করতে চায় তুরস্ক। তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারেও কাজ করতে আগ্রহী। কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তুরস্কের রাষ্ট্রদূত।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরান বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। তুরস্ক বাংলাদেশের পাট পণ্যের এক নম্বর ক্রেতা। তৈরি পোশাকও তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে। এর ডিজাইন নিয়েও তুরস্ক কাজ করতে আগ্রহী। তুরস্কের সঙ্গে ওষুধ আমদানির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ওষুধ শিল্পের মেশিনারিজ তুরস্ক সরবরাহ করতে পারে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close