খেলাধুলা

বাংলাদেশ কি তাহলে আফগানিস্তানকে হারাতে পারে না?

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক : আফগানিস্তানের কাছে টানা চার টি-টোয়েন্টিতে হার। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের আগে বাংলাদেশ পারবে আফগান-ধাঁধা মেলাতে?
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বাংলাদেশ ছন্দে ফেরে—এটা নিয়ে বেশ ‘ট্রল’ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কেউ বলছেন, বাংলাদেশের কাছে জিম্বাবুয়ে যেন ‘বিপদের বন্ধু’। এই ত্রিদেশীয় সিরিজে যেমন জিম্বাবুয়েকে হারিয়েই বাংলাদেশ ভাঙছে পরাজয়ের বৃত্ত!
বাংলাদেশ কি তাহলে আফগানিস্তানকে হারাতে পারে না? গত বছর দেরাদুন থেকে শুরু। টানা চার টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ । ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে দুই দলের সাক্ষাতের পরিসংখ্যানটা দাঁড়িয়েছে ৪-১। দেরাদুনে বাংলাদেশ এক ম্যাচেও জিততে পারেনি। আফগানদের হারাতে পারছে না দেশের মাঠেও। সেই অচলায়তন এবার ভাঙতে চায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাফল্যজাত আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবার আফগানিস্তানকে হারাতে চায় বাংলাদেশ। পরশু ম্যাচের নায়ক মাহমুদউল্লাহ বলছিলেন, ‘যেভাবে আমরা জিতলাম (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে), আত্মবিশ্বাস অবশ্যই থাকবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। তারা ভালো দল। আমরা যেন সেরা পারফরম্যান্স দিয়েই যেন ম্যাচটা খেলতে পারি, সে চেষ্টাই থাকবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা জিতে সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেন ফাইনালে যেতে পারি।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে প্রায় আড়াই বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরলেন শফিউল ইসলাম। বাংলাদেশ দলের পেসার ৩৬ রানের পেয়েছেন ৩ উইকেট। আজ অনুশীলন শেষে শফিউলও আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, এবার আফগানদের হারাতে পারবেন তাঁরা, ‘আমরা যদি আমাদের ভুলগুলো শোধরাতে পারি, যার যার কাজটা ঠিকমতো করতে পারি, শতভাগ দিতে পারি, তাহলে ওদের হারানো সম্ভব।’

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান দুই দলেরই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। কাল জোহর আহমেদের ম্যাচটা শুধু আনুষ্ঠানিকতা হলেও এটি আরেক অর্থে ফাইনালের মহড়া। এই মহড়ায় পা হড়কাতে চান না শফিউল, ‘ভালো খেললে এ ম্যাচ থেকে সবাই ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারব ফাইনালে। জয়ের অভ্যাসটা আমাদের ফাইনালে ভালো খেলতে সহায়তা করবে।’

বাংলাদেশের জয়ের অভ্যাসের সঙ্গে শফিউলের চোটমুক্ত থাকাটাও জরুরি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ৯ বছর হয়ে গেছে। অথচ দলে নিয়মিত হতে পারেননি। চোট যেন তাঁর পিছুই ছাড়ে না। শফিউলের লড়াইটা তাই চোটমুক্ত থাকা, ‘চেষ্টা করি চোটমুক্ত থাকতে। যখনই দলে ফিরি তখন চেষ্টা করি দেশের জন্য যেন কিছু করতে। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আর চোটে যেন না পড়ি সেই চেষ্টা থাকে।
/একে

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close