দেশজুড়ে

বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ এক দক্ষ চোরের গল্প বলি। এক মাস আগে বিদেশ প্রত্যাগত জনৈক প্রবাসী ভাই এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে তার স্বজনদের সাথে নিয়ে প্রাইভেট কারের পিছনে মালামাল তুলছিলেন। তারা যখন মালামাল তোলায় ব্যস্ত তখনই আমাদের গল্পের চোর বাবার নজরে এল যে গাড়ির ড্রাইভিং সিটের উপর একটি মোবাইল সেট রাখা আছে। চোর বাবা তখন নিদারুণ নিপুণতার সাথে গাড়ির সামনে এসে, ডানে বামে তাকিয়ে, নিঃশব্দে ড্রাইভিং সিটের দরজা খুলে, মোবাইল সেটটি পকেটে ভরে, আস্তে করে দরজা চাপিয়ে দিয়ে চম্পট দেন৷

মাত্র কয়েক ফুট দূরে গাড়ির পিছনে ব্যস্ত তিনজন মানুষ বুঝতেই পারেননি কী হয়ে গেল। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় পুরো ঘটনাটিসহ চোর বাবার চেহারাও দেখা যায়৷

এয়ারপোর্ট এলাকায় আবার কবে এই চোর বাবার শুভাগমন ঘটবে সে অপেক্ষায় বেশি দিন কাটাতে হয়নি৷ গত মঙ্গলবার মোবাইল কোর্ট অভিযান চলাকালে চোর বাবা ক্যানপি এলাকায় এসে যাত্রী ও ভিজিটরদের ভিড়ে মিশে ছিলেন৷ কিন্তু এবার আর রক্ষা পেলেন না। সুযোগ বুঝে একজনের পকেট সাফ করতে যেয়েই জনতার নজরে পড়ে গেলেন৷ মোবাইল কোর্টের হেফাজতে নেয়ার পর বুঝতে বাকি রইল না যে ইনিই সেই ব্যক্তি যিনি এক মাস আগে সাংঘাতিক নিপুণতায় মোবাইল চুরি করে ভেগেছিলেন৷ ছয় মাসের জন্য চোর বাবাকে শ্রীঘরে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ‘ম্যাজিস্ট্রেট অল এয়ারপোর্ট অব বাংলাদেশ’ এর ফেসবুক পেইজে এই চোরের ঘটনা শেয়ার করা হয়।

সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে আরো বলা হয়, এয়ারপোর্টে এরকম চোর বাবারা যাত্রী ও ভিজিটরদের ভিড়ে মিশে থাকেন৷ তারা দেখতেও অন্য সবার মত। ভাল মানুষের ভিড় থেকে চোর বাবাদের বের করে আইনের আওতায় আনা সহজ কাজ নয়। তাই এয়ারপোর্টে আসলে সতর্ক থাকুন৷ যে কোন সমস্যায় ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডিউটিরত আইন শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিন৷

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close