দেশজুড়েপ্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ

বিএনপির উচিত ২৭শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা: এমপি সাইফুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির উচিত ২৭শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা। কারণ জিয়াউর রহমান ২৭ শে মার্চ চিটাগং থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা পত্র পাঠ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (এমপি)।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, উনি (জিয়াউর রহমান) যদি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক হয়, বিএনপির উচিত ২৭শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা। কারণ জিয়াউর রহমান ২৭ শে মার্চ চিটাগং থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা পত্র পাঠ করেছিলেন। একজন মেজর কোনদিনই একটি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক, আরও কি কি কতকিছু বলে, এগুলো কিছু হইতে পারেনা।

এমপি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ২৬ শে মার্চের অগ্রভাগে আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই জন্যেই আমরা ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করি। আমাদের তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ২৭শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেডিও স্টেশন থেকে স্পষ্ট বলেছিলেন, আমি মেজর জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ঘোষণা করছি, আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে। আমাদের দেশে যে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছে এটি একটি রেডিও স্টেশন থেকে সরকারি ভাবে প্রচার করার জন্যেই সেদিন জিয়াউর রহমান চিটাগং ছিলেন। যার কারণে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি সেই পত্রটি পাঠ করেছেন মাত্র। উনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক নন। উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা মাত্র।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এদিন আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল গণ বিশ্ববিদ্যালয়। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান।

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, মার্চ মাস বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস। এ মাসেই বাংলাদেশের রূপকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম। আবার এ মাসেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের ইতিহাস কোন ব্যক্তিগত ইতিহাস নয়, নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের ইতিহাস, একটি জাতির মুক্তির ইতিহাস।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন পাথালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: পারভেজ দেওয়ান, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: সিরাজুল ইসলাম ও রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। এছাড়া গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত শিক্ষা মুজিব দর্শন’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close