দেশজুড়ে
ঐক্যফ্রন্টের ষড়যন্ত্র নিয়ে নেতাকর্মীদের চিঠি দিচ্ছেন কাদের সিদ্দিকী!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভ্যন্তরে অসঙ্গতি দূর না করলে জোট ছেড়ে দেয়ার আল্টিমেটাম দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি এবার চিঠির মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্টের অসঙ্গতি ও ঐক্যফ্রন্টের অস্পষ্ট কর্মকাণ্ডকে খোলাসা করতে শরিকদের সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
জোটের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ, প্রহসনের নির্বাচনী নাটক প্রত্যাখ্যান করে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের শপথ, মোকাব্বির খানের শপথগ্রহণের পরে ‘গেট আউট’, আবার গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলে তার (মোকাব্বির খান) উপস্থিতি জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। রাস্তাঘাটে জবাব দেওয়া যাচ্ছে না। সর্বশেষ বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শপথ নেওয়াকে স্বাগত জানানো এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকা-এসব নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, জনগণের মনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে যেসব প্রশ্ন জেগেছে তার যথাযথ প্রতিকার ও প্রতিবিধান কামনা করছি। না হলে অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে আগামী ৯ জুন বা পরবর্তী সময়ে দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কৃষক শ্রমিক লীগকে ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হবো। আশাকরি যারা শরিক রয়েছেন তারাও এ নিয়ে সোচ্চার হবেন। কেননা, ঐক্যফ্রন্ট কারো ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য তৈরি জোট নয়।
কামাল হোসেন ছাড়াও এই চিঠি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে।
চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, চিঠিতে যা বলা হয়েছে, তা উপযুক্ত কথা।