দেশজুড়ে

মাদক শনাক্তে ডগ স্কোয়াড গঠনের চিন্তা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মাদক শনাক্ত করতে ডগ স্কোয়াড গঠনের পরিকল্পনা করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড মাদক শনাক্ত করতেও কাজ করে যাচ্ছে। র‌্যাব রাষ্ট্রের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকে। এজন্য র‌্যাবকে কিছুটা চাপমুক্ত রাখতে এবং একই সময়ে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে এমনটাই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের মধ্যেও মাদক চোরাচালান অব্যাহত থাকায় মাদক প্রতিরোধে গঠিত ‘স্পেশাল টাস্কফোর্স’ সম্মিলিত বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্স হিসেবে পরিচিত র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। র‌্যাব অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ধারাবাহিক অভিযানে প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে মাদক। গ্রেফতার হচ্ছে মাদক চোরাকারবারিরা।

পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহন যাতে কোনভাবেই হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি ওইসব পণ্যবাহী যানবাহনে মাদক বা বিস্ফোরকের মতো কোন ক্ষতিকারক জিনিসপত্র যাতে না আসতে পারে সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে বলেছেন।

র‌্যাবের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার নিত্যপণ্যবাহী যানবাহন সব ধরনের নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে পচনশীল পণ্য যেমন শাকসবজি ও ফলমূল বহনকারী যানবাহনের যাতায়াতে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। এসব যানবাহন গন্তব্যে পৌঁছতে যাতে কোন অসুবিধা না হয়, সরকারের তরফ থেকে এমন নির্দেশনাও আছে। তল্লাশির নামে এসব পরিবহনকে হয়রানি না করতেও বলা হয়েছে।

এমন সুযোগটিকেই বেছে নিয়েছে মাদক কারবারিরা। তারা সীমান্তসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শাকসবজিবাহী যানবাহনকে বেছে নিয়েছে। চালকদের সঙ্গে আঁতাত করে পণ্যবাহী যানবাহনে করে মাদক চোরাচালান করছে। বিশেষ করে শাকসবজি ও ফলমূল বহনকারী যানবাহনকেই তারা মাদক চোরাচালানের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। শুধু শাকসবজি বা মলমূলের গাড়ি নয়, বর্তমানে পুলিশ বা অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্টিকার গাড়ির সামনে লাগিয়ে মাদক চোরাচালানের কৌশল বেছে নিয়েছে মাদক কারবারিরা। এ বিষয়ে তাদের গোয়েন্দাদের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য আছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের সকল ইউনিটকে সতর্ক করা হয়েছে। মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-৩) মেজর আব্দুল্লাহ আল মেহেদী জানান, গত ৬ মে নারায়ণঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন কাঞ্চন পৌরসভার পশ্চিম কালাদী এলাকা থেকে পুলিশ লেখা স্টিকার লাগিয়ে মাদক চোরাচালানের সময় একটি গাড়িসহ ৪০ কেজি গাঁজা জব্দ হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে দুই মাদক কারবারি। গ্রেফতারকৃত বাহাউদ্দিন বাবুল (৩০) ও মনির হোসাইন (২০) জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতেই এমন কৌশল নিয়েছিল তারা। ইতিপূর্বে তারা এভাবে অনেক মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close