দেশজুড়ে

প্রেমের টানে টঙ্গীতে এসে গণধর্ষণের শিকার কুমিল্লার মাদরাসাছাত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গীতে ৭ম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৫) দুইদিন ধরে ঘরে আটকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত আসামিরা হল- কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানার হেসাখাল এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মইন উদ্দিন (২০), টঙ্গীর গাজীবাড়ি এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মাহিন আহাম্মেদ (২০), টঙ্গীর মাছিমপুর এলাকার জামাল ডাক্তারের বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল আউয়ালের ছেলে ওমর ফারুক (২২), একই বাড়ির মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. আলম (৩২) ও ধর্ষকদের সহায়তাকারী ওই এলাকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী হোসনা আক্তার (৩২)। পুলিশ ওমর ফারুক ছাড়া অপর চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, আসামি মইন উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আসামি মইন উদ্দিনের প্ররোচনায় বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায় মেয়েটি। ২৭ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে ওই ছাত্রীটি টঙ্গী মধুমিতা রোড এলাকায় গাড়ি থেকে নামে। এ সময় ওমর ফারুক ও মো. আলম মেয়েটিকে একা পেয়ে ফুঁসলিয়ে টঙ্গী মাছিমপুর এলাকার জামাল ডাক্তারের বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে মো. আলম ও ওমর ফারুক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। দুইদিন ধরে মেয়েটির ওপর তারা পাশবিক নির্যাতন চালায়।

একপর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ওমর ফারুক তাকে ২৮ অক্টোবর রাতে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় রাস্তার পাশে রেখে পালিয়ে যায়। ওই ছাত্রী ঘুরতে ঘুরতে এক বয়স্ক নারীর কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয়। মেয়েটি তার ওপর পাশবিক নির্যাতনের কথা ওই নারীকে জানালে তিনি তাকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েটিকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বুধবার সকালে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close