বিশ্বজুড়ে

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বারানোকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়ানোর বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে এমনটিই আমরা আশা করব। তবে তা নির্ভর করবে হামাস আরও জিম্মিদের মুক্তি দেয় কিনা তার ওপর। জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া অব্যাহত রাখলে মানবিক এ যুদ্ধবিরতি আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য অব্যাহত থাকতে পারে।

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল সরকার চলমান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। সোমবার ছিল চার দিনের অস্ত্রবিরতির শেষ দিন। কাতারের মধ্যস্থতায় এর মেয়াদ আরও দুই দিন বেড়েছে।

এদিকে যত দিন জিম্মি মুক্তি অব্যাহত থাকবে, ততদিন এর মেয়াদ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিতের জন্য আমি সম্পৃক্ত আছি।

আর হামাস বলেছে, তারাও অস্থায়ী এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চায়, যদি ইসরায়েল আরও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি দিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে। হামাস আগামী দুই দিনের মধ্যে গাজা উপত্যকায় জিম্মি হওয়া আরও ২০ নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানান কিরবি।

কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার থেকে অস্ত্রবিরতি শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এই চার দিনে হামাস ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাকের পাশাপাশি ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাসভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে।

তবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েই চলেছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বর্তমান সংঘাত সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টায় নতুন গতি আনার জন্যও এই চাপ তৈরি হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ‘দীর্ঘস্থায়ী’ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

স্পেনের বার্সেলোনায় ভূমধ্যসাগরীয় (ইউএফএম) আঞ্চলিক ফোরামের সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রাথমিক চার দিনের যুদ্ধবিরতি ছিল ‘রাজনৈতিক সমাধানের’ দিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু আমাদের ভাবতে হবে, কীভাবে আমরা আজ থেকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চালিয়ে যাব। স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বলেছেন, শিগগিরই একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন হওয়া দরকার। ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গও যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি বলেছেন, কাতার, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও স্পেন গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য কাজ করছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close