দেশজুড়ে

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) মো. সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তার প্রথম স্ত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সামসুন নাহার সুইটি নামে ওই নারী বাদী হয়ে কুমিল্লার নারী ও শিশু আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিশাত সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় সুইটি তার স্বামী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তাকে না জানিয়ে তিনটি বিয়ে, ১১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি ও মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কোনও কথা বলতে রাজি হননি ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন।

সুইটি বলেন, বিয়ের সময় আমার স্বামী সিএমপিতে পিএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। সে সময় আমার বাবার কাছে থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে সে ৫ লাখ টাকা ঋণ নেয়। সেই টাকা আজও পরিশোধ করেনি। এছাড়া আমার নিজের ৩০ ভরি স্বর্ণালংকারও নিয়ে গেছে সে।

সুইটি আরও বলেন, ২০১৪ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি তাহমিনা আক্তার পান্না নামে বি-বাড়িয়া জেলার এক মেয়েকে আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করে সালাউদ্দিন। সেখানেও একটি সন্তান রয়েছে তার। আদালতে আমি সেই বিয়ের নিকাহনামা দাখিল করেছি। এছাড়া গত ৮-৯ মাস ধরে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। শুনেছি তাকেও নাকি বিয়ে করেছে। গত কয়েক মাস ধরে সে আমাকে মারধর করে ১১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে। টাকা না দিলে আমাদের বাসা থেকে বের করে দেবে। সে এখন বাচ্চাদের এবং সংসারের কোনও খরচও দেয় না।

সুইটির বাবা মো. বজলুর রহমান বলেন, গত চার মাস থেকে সালাউদ্দিন আমাকে বলছে আমার মেয়েকে নিয়ে যেতে। না হয় সে আমার মেয়েকে মেরে ফেলবে। আমাদেরকেও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে বলে- তার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুই পাওয়ারই আছে।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি এখনও আদালতের নোটিশ কিংবা মামলার কপি হাতে পাইনি। আদালতের আদেশের কপি পেলে এই বিষয়ে কথা বলবো। এখন এ নিয়ে কিছুই বলতে চাই না।’

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close