দেশজুড়ে

রাজধানীর ১৮১৮ ভবনের ১৫২৫টি নকশা বহির্ভূত

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানীর এক হাজার ৮১৮টি ভবনের মধ্যে মাত্র ২৯৩টি ভবন নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়েছে। বাকি এক হাজার ৫২৫টি ভবনের নকশারই পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন নেই। এমন তথ্যই তুলে ধারা হয়েছে, ভবন পরিদর্শন কমিটির প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা মহানগরে ৪৩১টি বহুতল ভবন রয়েছে, যেগুলোর কোনো নকশাই নেই। মালিকরা সরকারের পরিদর্শন কমিটির সামনে ভবনগুলোর নির্মাণসংক্রান্ত কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি।

১১ তলা থেকে তার উর্ধ্বের ভবনগুলোকে বহুতল ভবন হিসেবে চিহ্নিত করে এগুলো পরিদর্শন করে রাজউকের টিম। এ সময় এক হাজার ৮১৮টি ভবন চিহ্নিত করে কাগজ-পত্র দেখা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজউকের অনুমোদন রয়েছে এক হাজার ১৩৬টি বহুতল ভবনের। রাজউক ছাড়া অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ২০৭টি। ভবন মালিকরা ৪৩১টি ভবনের অনুমোদিত নকশা দেখাতে পারেননি।  এর মধ্যে সব ধরনের কাগজপত্র ঠিক রেখে বৈধ নকশা মোতাবেক ২৯৩টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রাজউক থেকে অনুমোদন নিয়ে ২৭৭টি ভবন বেআইনিভাবে নির্দিষ্ট তলার চেয়ে বেশি নির্মাণ করা হয়েছে। সেটব্যাক ও অন্যান্য ব্যত্যয় আছে এমন ভবনের সংখ্যা ৬৭৪টি।

অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক হাজার ৮১৮টি ভবনের মধ্যে এক হাজার ১৫৫টি ভবনের আগুন নেভানোর কোনো যন্ত্রপাতি নেই।

নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা এসব বহুতল ভবনের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভবন মালিক ও নির্মিত ভবনগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। প্রথমে আমরা ভবন মালিকদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবো। জবাব সন্তোষজনক না হলে আমরা এগুলো ভাঙ্গার নোটিশ দেবো।

আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করা হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, এখন সরাসরি ভবন ভাঙ্গার নোটিশ দিলে মালিকরা উচ্চ আদালতে গিয়ে এ নোটিশের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়ে নেবে। আমরা এ সুযোগ তাদের দিতে চাই না। এ কারণেই আমাদের আইন ও বিধি মেনে এগুতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close