দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

রোগের ব্যাপ্তি বিচারে গণস্বাস্থ্যের কিট সহায়ক হতে পারেঃ বিএসএমএমইউ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট, উপসর্গ নিয়ে আসা ব্যক্তিদের (কোভিড ১৯) শনাক্তে কার্যকর নয়। তবে যাদের এই রোগ হয়েছিল তাদের একশো জনের সত্তর জনকে শনাক্ত করতে সক্ষম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দল পরীক্ষায় এই ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছে। ফলে, রোগের ব্যাপ্তি বিচার, কোভিড প্লাজমা বিতরণ, কোয়ারেন্টাইনের সময় নির্ধারণ আর লকডাউনের রূপরেখা প্রণয়নে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট সহায়ক হতে পারে বলে মত দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যাল ১২ মে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষণার জন্য ২০০টি এন্টিবডি পরীক্ষা কিট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দলকে প্রদান করে। এর সাত দিনের মাথায় রক্তের বদলে লালা সংগ্রহের অনুরোধ জানায় গণস্বাস্থ্য। পরে লালাতে পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় লালায় এন্টিজেন পরীক্ষা স্থগিত রেখে শুধু এন্টিবডি কিটের গবেষণা করার অনুরোধ করে তারা। ওষুধ প্রশাসন গবেষণার জন্য এক বছর সময় দিলেও এক মাসের মধ্যেই মূল্যায়ন রিপোর্ট দিল গবেষণা দল। গবেষণায় ৫০৯টি রক্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে, একশো জনে প্রথম সপ্তাহে ১১ জন, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪০ জন এবং দুই সপ্তাহ পরে ৭০ জনের দেহে কোভিড শনাক্ত করতে সক্ষম হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘এই কিটটি উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্ত করণে কার্যকরী নয়। তবে যেসব স্থানে প্রচলিত আরটিপিসিআর পদ্ধতি চালু নেই অথবা যাদের কোভিড উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও আরটিপিসিআর ‘নেগেটিভ’ এসেছে তাদের ক্ষেত্রে এই কিটটি কিছুটা সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কারোর প্রতি কোনো ধরনের চাপ কোনো কিছু আমাদের দেওয়া হয়নি। তবে গণস্বাস্থ্যের কিটকে উদ্ভাবন হিসেবে মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করে কার্যকর করতে এর উপর আরো কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষক দলের এই সদস্য।

বিএসএমএমইউ ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইপ উল্লাহ মুন্সী বলেন, ‘দেশের অন্যান্য যে কিটগুলো রয়েছে সেইগুলো ৯৯% কাজ করে। এর মানে একশ জন পরীক্ষা করলে ৯৯ জনকে সে সঠিকভাবে ধরতে পারে। কিন্তু এই কিটটি ৭০% ধরতে পারে। রিপোর্ট না পাওয়ায় এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল। তবে রিপোর্টটি এরই মধ্যে ওষুধ প্রশাসনে পাঠানো হয়েছে। কিট ব্যবহার হবে কি হবে না তার সিদ্ধান্ত জানাবে তারাই।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close