দেশজুড়ে

লঞ্চে নারী এমপির বরাতে কেবিন না পাওয়ায় হামলা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ পটুয়াখালীতে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি কানিজ সুলতানা হেলেনের বরাত দিয়ে লঞ্চে একটি ভিআইপি কেবিন দাবি করেন পটুয়াখালী লঞ্চঘাটের ইজাদার গাজী হাফিজুর রহমান সবির ও তার লোকজন।

কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে ইজাদারের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় কুয়াকাটা-১ লঞ্চের সুপারভাইজার এসএম ফারুক, তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল আজমির ও টিকিট বিক্রেতা সুমনকে মারধর করা হয়।

শনিবার(১৭ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিলাল হোসেন ও দায়িত্বরত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় ঘাট শ্রমিক বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্য চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহত এসএম ফারুক পটুয়াখালী পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

আহত ফারুক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় চলছে। শনিবার পটুয়াখালী থেকে ৬টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিকাল ৪টার দিকে সুন্দরবন-৭ এবং কুয়াকাটা-১ যাত্রী নেয়ার জন্য পটুয়াখালী ঘাটে পৌঁছায়। হঠাৎ লোকজন নিয়ে ঘাটে এসে ঘাট ইজারদার গাজী হাফিজুর রহমান সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি কানিজ সুলতানা হেলেনের বরাত দিয়ে একটি ভিআইপি কেবিন দাবি করেন।

কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ায় লঞ্চে কোনো কেবিন ফাঁকা ছিল না। তাই ইজারদারের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হন তারা। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ফারুক ও তার ছেলে এবং সুমনকে মারধর করে তারা।

এ ঘটনার পরে আহতদের পক্ষে লঞ্চ শ্রমিকদের একটি অংশ অবস্থান নেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান জানান, নারী এমপি হেলেনের ভিআইপি কেবিন টাকার বিনিময়ে অন্য লোকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তাই ঝামেলা হয়েছে। ফারুককে মারধর করা হয়নি। উল্টো রতন ও আমার ভাইয়ের ছেলে শুভকে ফারুকের লোকজন মারধর করেছে।

এদিকে এমপি কানিজ সুলতানা হেলেন জানান, তিনি কোনো কেবিন চাননি অথবা কারো মাধ্যমেও শনিবার কোনো কেবিন দাবি করেননি।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close