দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

শরীয়তপুরে নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙন, গৃহহীন শত শত মানুষ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: শরীয়তপুরের নড়িয়া রক্ষা বাঁধে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। শত শত মানুষ জীবন বাঁচাতে নিরাপদ জায়গা ছুটছেন। তবে অনেকে বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নড়িয়া উত্তর কেদারপুর এলাকায় ২শ মিটার এলাকা জুড়ে ধ্বসে পড়েছে। এতে একটি মসজিদ, ২টি দোতলা বিল্ডিং ও বেশ কয়েকটি বসত বাড়িসহ গাছপালা নদীতে বিলিন হয়ে যায়। ভাঙনের আতংকে মঙ্গল বেপারী নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছে। এখনো ভাঙন আব্যাহত রয়েছে। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধে চেষ্টা করছে বাধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। আশপাশে বাসিন্দাদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। আতংকিত হয়ে শত শত বসত বাড়ি অন্যত্র সড়িয়ে নিয়েছে ভাঙন কবলিতরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃঞ্চ সরকার জানান, আমরা নিয়মিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করি। কিন্তু কোথাও কোন ফাটল দেখি নাই। হঠাৎ সন্ধ্যায় প্রায় ২শ ৮০ মিটার জায়গায় ধ্বস দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌচেছি। জরুরী ডাম্পিং কাজ শুরু করেছি। এখনো থেমে থেমে ভাঙন চলছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।

উল্লেখ্য, গত বছর নড়িয়ার আট কিলোমিটার জুরে ব্যাপক ভাঙন ছিল। ভাঙনে ওই এলাকার সাড়ে ছয় হাজার পরিবার গৃহহীন হয়। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অসংখ্য স্থাপনা বিলিন হয়ে যায়। ভাঙন ঠেকাতে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এক হাজার ৯৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্পর অনুমোদন করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নৌবাহীনির প্রতিষ্ঠান খুলনা শীপইয়ার্ড লিমিটেডকে ওই কাজের কার্যদেশ প্রদান করেন। যার মধ্যে ৫৫২ কোটি টাকা ব্যায়ে নড়িয়ার সুরেশ^র হতে জাজিরার কায়ুম খার বাজার পর্যন্ত আট দশমিক নয় কিলোমিটার অংশে নদীর তীর রক্ষার কাজ। বাকি টাকা দিয়ে নদীর চরখনন করা হবে। গত বছর ১২ ডিসেম্বর ওই প্রকল্পের নদীর তীর রক্ষার কাজ শুরু করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close