দেশজুড়ে

শাহজালাল বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালের কাজ অক্টোবরে শুরু হচ্ছে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: চলতি বছরের অক্টোবরে শুরু হচ্ছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ। প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই টার্মিনালে থাকবে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ আউটসোর্সিংয়ে দেয়া হবে জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব বলেন, এতে সেবার মান বাড়বে, সহজ হবে ফ্লাইট পরিচালনা। পূর্ণাঙ্গ সেবা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরের সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নতির পরামর্শ খাত সংশ্লিষ্টদের।

১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে বছরে প্রায় ৯০ হাজার বিমান ওঠানামা করে। গেল বছরে সক্ষমতার চেয়ে বেশি ৯০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয় প্রধান এই বিমানবন্দর। সে অনুপাতে বাড়েনি বোর্ডিং ব্রিজ, লাগেজ বেল্ট, ইমিগ্রেশন চেকিং পয়েন্ট, পার্কিং-বেসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো সুবিধা। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না যাত্রীরা।

এই প্রেক্ষাপটে শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় মূল টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ২৪ লাখ বর্গফুট জমির ওপর তৃতীয় টার্মিনাল করতে যাচ্ছে সরকার। থাকবে প্রয়োজনীয় সব সুবিধা। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে দরপত্রের কারিগরি মূল্যায়ন। ঠিকাদারের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি সইয়ের পর শুরু হবে নির্মাণ কাজ।

বিমান সচিব মহিবুল হক বলেন, আশা করছি আগামী অক্টোবরের মধ্যেই এই নির্মাণকাজের শুভ উদ্বোধন করা হবে।

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমের আধুনিকায়নসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো সুবিধা না বাড়লে যাত্রীরা এ টার্মিনালের পুরো সুবিধা বাড়বে না বলে মনে করেন এয়ারলাইন্সগুলোর কর্মকর্তারা।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সাবেক সিইও ইমরান আসিফ বলেন, সব জায়গার সুবিধা সমানভাবে না বাড়লে সুবিধা ঠিকঠাকমতো না পাওয়াই স্বাভাবিক।

নিরবিচ্ছিন্ন ফ্লাইট অপারেশনের জন্য শাহজালালে ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের চাপ সামলাতে এখন থেকেই পরিকল্পনার মাধ্যমে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের দাবি জানালেন বিশ্লেষক ওয়াহিদুল আলম।

তৃতীয় টার্মিনাল নির্মিত হলে বছরে এই বিমানবন্দরের যাত্রী সক্ষমতা দাঁড়াবে দুই কোটিতে। ২০২৩ সালে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close