দেশজুড়েপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

সরকারি প্রকল্পে রডের দাম পুনর্বিবেচনার আহ্বান

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে বেঁধে দেয়া রডের দাম পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআইয়ের আয়রন, কার্বন স্টিল, স্টেইনলেস স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং ইন্ডাস্ট্রিজ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি। গতকাল এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিটির প্রথম বৈঠকে এ আহ্বান জানান কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসএমএ) সভাপতি মানোয়ার হোসেন।

এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি প্রকৌশলী শফিকুল হক তালুকদার ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী।

মনোয়ার হোসেন জানান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নতুন দর অনুযায়ী সরকারি প্রকল্পে প্রতি টন রডের দাম ৭২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানের প্রতি টন স্ক্র্যাপের দাম ৬২ হাজার টাকার সঙ্গে ভ্যাট ও অন্যান্য কর এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের খরচসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় হিসাব করলে রডের উৎপাদন মূল্য সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি। তাই নির্ধারিত দাম পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন। এছাড়া মেয়াদি ঋণের সময়সীমা ১০ বছর ও রডের ক্ষেত্রে ডেফার পেমেন্টের সময় ৩৬০ দিনের পরিবর্তে ৭২০ দিন ও মেশিনের ক্ষেত্রে তিন বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর করার দাবি জানান তিনি। এ সময় দেশে রড ও সিমেন্ট খাতে উৎপাদন সক্ষমতা চাহিদার তুলনায় বেশি। তাই আগামী দুই বছরের জন্য ব্যাংকঋণ নিয়ে এ খাতে নতুন বিনিয়োগের বিপক্ষে মত দেন তিনি।

মো. জামাল উদ্দিন বলেন, দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে স্টিল খাতের গুরুত্ব অনেক। রাষ্ট্রের উন্নয়নের স্বার্থে প্রতি টন রডে ২৫-৩০ শতাংশ লোকসান দিয়েও ব্যবসা পরিচালনা করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তবে রডের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বড় বড় নির্মাণ কোম্পানি আজ তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

প্রকৌশলী শফিকুল হক তালুকদার জানান, নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়লেও চুক্তিতে নির্ধারিত দর অনুযায়ী সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে। এতে লোকসানে পড়ছেন উদ্যোক্তারা। এরই মধ্যে ২৫ শতাংশ ঠিকাদার দেউলিয়া হয়েছেন। এ সময় ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সরকারি প্রকল্পে মূল্য সমন্বয়ের দাবি জানান এ প্রকৌশলী।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, স্টিল ও নির্মাণ খাত বাংলাদেশের অন্যতম একটি শক্তিশালী খাত। কিন্তু এর অভ্যন্তরীণ সংকটও অনেক। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে এসব সমস্যা চিহ্নিত করার তাগিদ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এ খাতকে এগিয়ে নিতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।

মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, এ খাতের উন্নয়নে জোরালো তাগিদ থাকতে হবে। এজন্য নির্মাণ ও স্টিল খাতের যৌথভাবে সেমিনার করার পরামর্শ দিয়ে এফবিসিসিআই থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। এর আগে দাম সহনীয় পর্যায়ে রেখে স্বল্প মুনাফায় ব্যবসা করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী।
/একে

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close