প্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ

সাভারে ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিকের কলার চেপে ধরল পুলিশ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ চেকপোস্টে এক উপ-পরিদর্শকের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক রুবেল আহমেদ প্রিন্স।

বুধবার (২০) বিকেলে এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই টিভি সাংবাদিক ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযুক্ত আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-উর-রশিদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এর আগে দুপুরে পেশাগত কাজে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার চালিয়ে যাওয়ার সময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে লাঞ্ছিত হন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ঢাকা জেলা প্রতিনিধি রুবেল আহমেদ প্রিন্স।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের অভিযোগ, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে তার মত সাংবাদিকদের। আজ সকালেও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার চালিয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য বাসা থেকে সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। এসময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী চেকপোস্টে পৌঁছলে সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের এসআই হারুন-উর-রশিদ তাকে আটকে দেন। পরে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তাকে যেতে হবে বলে জানালেও ওই পুলিশ সদস্য এতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিমন্দ করতে থাকেন।

তিনি আরো বলেন, গালমন্দ করার কারন জানতে চাইলে এসআই হারুন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ির দরজা খুলে তার কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করেন ও তাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করেন। এমনকি তার গাড়িসহ তাকে আটক করারও হুমকি প্রদান করেন এসআই হারুন। পরে স্থানীয় সহকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে রেহায় পান তিনি।

সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ব্যাপারে অভিযুক্ত আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-উর-রশিদ জানান, চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করার সময় সব গাড়ি গুলোকেই ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছিল। এসময় ওই সাংবাদিকের গাড়িটিও ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি অস্বীকার করেন এই পুলিশ সদস্য।

যদিও সরকারি আদেশ অনুযায়ী জরুরী সেবায় নিয়োজিতদের মধ্যে সাংবাদিক পেশার সাথে জড়িতরা রয়েছেন। তাহলে কেন পরিচয় দেয়ার পরও ওই সাংবাদিকের গাড়িটি ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন এমন প্রশ্নে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি এসআই হারুন।

তবে ঘটনাটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। জানতে পেরে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান ও আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউক হক দিপু সাংবাদিকদের কাছে দু:খ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, এই ঘটনায় সাভারের স্থানীয় সাংবাদিকেরা দ্রুত ওই এসআই এর প্রত্যাহার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় আন্দোলনের যাবার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

ভিডিও দেখুন:

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close