বিনোদন

সুগন্ধি ও বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে তিমির বমি ব্যবহার!

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: স্পার্ম তিমির পাকস্থলীতে অ্যাম্বারগ্রিস তৈরি হতে বহু বছর সময় লেগে যায়। হাজার হাজার স্কুইড খেয়ে থাকে স্পার্ম তিমি। সেই স্কুইডগুলো মাঝেমধ্যে পাকস্থলী ও অন্ত্রের মাঝখানে গিয়ে জমা হয়। দীর্ঘদিন পর সেটি পরিণত হয় অ্যাম্বারগ্রিসে। পরে সেটি বমি হয়ে বেরিয়ে আসে।

তিমির বমি দিয়েই আবার তৈরি করা হয় বিভিন্ন সুগন্ধি। প্রথমে দুগর্ন্ধ লাগলেও অ্যাম্বারগ্রিস যখন শক্ত প্রকৃতির হয়, তখন এর থেকে সুগন্ধ বের হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে এটিকে ব্যবহার করা হয় সুগন্ধি ও বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে।

সব স্পার্ম তিমির পেটের ভেতরে অ্যাম্বারগ্রিস তৈরি হয় না। আবার স্পার্ম তিমি ছাড়া অন্য কোনো তিমির ভেতরে এটি তৈরি হয় না। সমুদ্র বিজ্ঞানীদের মতে, বিশ্বে যত স্পার্ম তিমি আছে, তার মধ্যে এক থেকে দুই শতাংশের মধ্যে ব্যবহারযোগ্য অ্যাম্বারগ্রিস আছে।

প্রাকৃতিক স্বর্ণ বা ভাসমান সোনাখ্যাত অ্যাম্বারগ্রিসের দাম বেশি হওয়ার পেছনে কারণ হলো এর দুষ্প্রাপ্যতা। এক কেজি অ্যাম্বারগ্রিসের দাম প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বিভিন্ন নামিদামি পারফিউমের ব্র্যান্ডগুলো সুগন্ধিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে এবং বিকল্প হিসেবে রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে যাওয়ার পরও প্রাকৃতিক সংগৃহীত অ্যাম্বারগ্রিসের ওপরই নির্ভর করে থাকে।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close