দেশজুড়ে

স্ত্রীর যৌতুক মামলায় চিকিৎসক স্বামী কারাগারে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ জয়পুরহাটে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় নড়াইল সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. বিভাস কুমার শর্মাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল বাহার তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিভাস কুমার শর্মা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর শহরের ব্রজ গোপাল শর্মার ছেলে ও নড়াইল সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার।

২০১৭ সালের ৫ জুলাই হিন্দু বিবাহ আইনে তৎকালীন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার বিভাসের সাথে বিয়ে হয় জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা চৈতী রায়ের। বিবাহ বাবদ উপঢৌকন হিসেবে মেয়ের বাবা জামাইকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ, নগদ ৫ লাখ টাকা ও ব্যাংক চেকের মাধ্যমে ২ লাখ টাকাসহ ঘর সাজানো বাবদ ফার্নিচার প্রদান করলে তারা সংসার করতে থাকেন।

কিন্তু এরই মাঝে আবারো নগদ ১০ লাখ টাকা বাবার বাড়ী থেকে নিয়ে আসার জন্য চৈতীকে বার বার চাপ দিতে থাকে বিভাস। এতে রাজি না হলে চৈতির ওপর চলায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এ ঘটনার কিছু দিন পর বিভাস চৈতীর সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেলে বিভাসের পরিবারের সদস্যরাও তার কোন ধরণের খোঁজ খবর দেয়নি।

এ ঘটনায় সম্প্রতি উল্টো বিভাস রাজশাহীর বাঘা পারিবারিক আদালতে চৈতীর বিরুদ্ধে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করলে দুই পরিবারের লোকজন সমঝোতায় বসেন। পরে বিভাস ১০ লাখ টাকা দাবিতে উল্লেখিত মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

এদিকে, কোন উপায় না পেয়ে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর চৈতী রায় বাদী হয়ে জয়পুরহাটের (ক) অঞ্চল আমলী আদালতে বিভাসের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। আর এই মামলায় বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিভাস সশরীরে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলাটির আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সুলতান মোল্লা ও বিবাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট হেনা কবির।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close