দেশজুড়ে

হিলিতে লোহার খনির সন্ধান

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রথমবারের মতো লোহার খনি আবিষ্কার করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে লোহার খনি আবিষ্কারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ জন্য সম্ভাব্য খনির কেন্দ্রস্থলে চলছে ড্রিলিং কাজ। এরই মধ্যে সেখানে পাওয়া গেছে লোহাজাতীয় আকরিক। তবে ভূপৃষ্ঠ থেকে এ খনির দূরত্ব খুবই কম বলে জানিয়েছে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর।

এর আগে হিলির নবাবগঞ্জ ও দিঘিপাড়ায় কয়লার খনির সন্ধান পায় ভূতাত্ত্বিক অধিদফতর। ২০১৩ সালে দিনাজপুরের হিলি উপজেলার মুর্শিদপুর গ্রামে খনিজসম্পদ অনুসন্ধানে জরিপ চালায় ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। সে সময় লোহার আকরিকের সন্ধান পায় অনুসন্ধানকারী দল, যা বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম ছিল।

গত ১৯ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে জরিপে নামে দলটি। ওই দিন দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক ফিতা কেটে ড্রিলিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই চলছে সম্ভাব্য খনির কেন্দ্রস্থলে ড্রিলের কাজ। এরই মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৪৩৩ ফুট গভীরে পাওয়া গেছে লোহা ও চৌম্বক জাতীয় পদার্থের উপস্থিতি। যা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এই লোহার খনিতে মজুত ও বিস্তুত যাচাইয়ের জন্য ড্রিলিংয়ের কাজ চলবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত।

ড্রিলিং কার্যক্রমে অংশ নেওয়া টিম সূত্রে জানা যায়, ভূপৃষ্ঠের এত কাছে লোহার খনি আবিষ্কার দেশের মধ্যে এটাই হবে প্রথম এবং বিশ্বের মধ্যেও প্রথম ১০টির মধ্যে একটা ভালো অবস্থানে রয়েছে। লোহা জাতীয় খনির সন্ধান আশানুরূপ হবে বলে প্রত্যাশা ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের।

ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের পরিচালক সাইদুল হোসেন বলেন, খনির ক্ষেত্রে আমরা সম্ভাব্য যেসব এলাকাগুলোকে প্রথমে চিহ্নিত করি, পরে সেখানে কূপ খনন করে ড্রিলিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। তারই অংশ হিসেবে হিলির ইশবপুর গ্রামে ড্রিলিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। খনি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই আমরা এবার ঠিক সেন্টারে ড্রিলিং কার্যক্রম চালাচ্ছি।

নিচ থেকে কাঁদা, বালু বা আদি শিলা সব নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলো পেশাগত জ্ঞান দিয়ে অ্যানালাইসিসের কাজ চলছে। সবকিছু মিলিয়ে যা পেয়েছি তাতে ভালো কিছু পাওয়ার সঙ্কেত মিলছে বলেও জানান সাইদুল হোসেন।

এ বিষয়ে দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক বলেন, খনি হলে দেশের অগ্রগতির পাশাপাশি এলাকাবাসীর জীবনমানেরও উন্নয়ন হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close