প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে

১৪৪ ধারায় ঈদ!

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহার দিনও চলছে ১৪৪ ধারা। স্থানীয় জনগণকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। পথে পথে টহল দিচ্ছে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারির গাড়ি।

সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় শ্রীনগরের বেশিরভাগ মসজিদেই ঈদের নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীরে স্থানীয় ছোট ছোট মসজিদে ঈদের নামাজ পড়া হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে সেসব ঈদের জামাতের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানিয়েছে, ঈদের বিশেষ নামাজের পর কোথাও কোথাও অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে বলে খবর রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। তাই একদিকে মানুষকে ঈদের নামাজ পড়তে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া, অন্যদিকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের সামনে।

আর এ কারণেই কারফিউ তুলে নেয়ার একদিন না পেরোতেই আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হয় জম্মু কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকায়। ঈদ উল আযহা উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলে হয়েছে পুরো কাশ্মীর উপত্যকাকে।

এ সময় এবং এনডিটিভি জানিয়েছে, বড় মসজিদগুলোতে ঈদ উপলক্ষে বহু মানুষের জমায়েত করতে দিচ্ছে না প্রশাসন। স্থানীয় মসজিদেই সবাইকে ঈদের নামাজ পড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যে কোনো বড় জমায়েত হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।”

কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা আবারও জারি করা হলেও জম্মুতে তিন-চারটি শহর ছাড়া ১০টি জেলা থেকে কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে। ঈদে পরিবারের সবাইকে যাতে সাধারণ মানুষ শুভেচ্ছা জানাতে পারেন, তার জন্য উপত্যকার বাইরে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে ৩০০টি বিশেষ টেলিফোন বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কিন্তু উপত্যকা এ দিনটিও কাটাচ্ছে মোবাইল সংযোগ ছাড়া। ইন্টারনেটও নেই টানা ছ’দিন। সংবাদমাধ্যমের ওপরে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।

দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে কোথায় আটক করে রাখা হয়েছে, সে খবরও কেউ জানে না। পাইকারি ও খুচরো বাজারে পণ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি ওষুধও রয়েছে স্বল্প পরিমাণে।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close