দেশজুড়ে

২২ বছর পর ফের এসএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বয়স গোপন রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় নয়ান খান মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এক ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান ওই ছাত্রকে বহিষ্কার করেন।

ওই ছাত্রের নাম এস এম শামীম আল মামুন। তিনি নাগরপুর সদর ইউনিয়নের দুয়াজানী গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের ছেলে।

পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শামীম ২০০০ সালে মো. শাহীনুর ইসলাম নামে চৌহালী জনতা হাইস্কুল থেকে রাজশাহী বোর্ডের অধীনে ৬১৩ নম্বর পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০২০ সালে নাগরপুর উপজেলার বনগ্রাম শহীদ মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে নাম পরিবর্তন করে পুনরায় তিনি এস এম শামীম আল মামুন নামে নিবন্ধন করে ২০২৩ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে দুইবারের নিবন্ধনে তাঁর বাবার নাম একই ছিল।

এদিকে গত মাসের ৩০ এপ্রিল রোববার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা চলাকালে বিষয়টি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নজরে আসে। ওই কর্মকর্তা তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। এ সময় ওই ছাত্রের কাছে জানতে চাইলে অকপটে সব স্বীকার করেন। পরীক্ষা শেষে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড জব্দ করে হল কর্তৃপক্ষ। আজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র চলাকালে ইউএনও ওয়াহিদুজ্জামান ওই ছাত্রকে বহিষ্কার করেন।

এ বিষয়ে ওই ছাত্র এস এম শামীম আল মামুন বলেন, ‘আমি এর আগে ২০০০ সালে রাজশাহী বোর্ড থেকে এসএসসি পাস করি। সার্টিফিকেটে বয়স কমানোর জন্য নতুন করে ২০০৭ সালে জন্মতারিখ দেখিয়ে জন্ম সনদ বের করি। ২০২০ সালে নাগরপুর উপজেলার বনগ্রাম শহীদ মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে নিবন্ধন করে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিই।’

কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক সহকারী কর্মকর্তা জিএম ফুয়াদ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পালনকালে ওই ছাত্রকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাই।’

কেন্দ্র সচিব ও নয়ান খান মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসেন আলী মনসুর বলেন, ওই ছাত্রের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম ১৯৮৪ উল্লেখ করা এবং জন্মসনদে লেখা ২০০৭।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর জন্ম ১৯৮৪ এবং নতুন জন্মসনদে তাঁর জন্ম ২০০৭। এর আগে তিনি এসএসসি পাস করেছেন। ২০-২২ বছর পর আবার এসএসসি পরীক্ষা দিতে এসেছেন। মূল বয়স গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অপরাধ।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close