প্রধান শিরোনামব্যাংক-বীমা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ পিছিয়ে আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আজ রোববার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মতিঝিল থানায় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

এরপর ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে সিআইডির অধীনে তদন্ত চলছে।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

বাংলাদেশের করা মামলায় পাঁচ আসামি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি), ম্যানিলার ব্যবসায়িক সংগঠন ফিলরেম সার্ভিস কর্পোরেশন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেঞ্চুরিটেক্স ট্রেডিং, ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠান ব্লুমবেরি রিসোর্ট অ্যান্ড হোটেলসের সোলেয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনো এবং দেশটির আরেক ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন হাওয়াই লেইজার কোম্পানি লিমিটেডের মাইডাস হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনো।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় পদত্যাগ করতে হয় তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমানকে। এরপর দুই ডেপুটি গভর্নরকেও সরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া বদলি করা হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে।

রিজার্ভ চুরির ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের মধ্যে ৫ কোটি ২০ লাখ ডলার নিয়ে ফিলিপাইনের আদালতে কমপক্ষে ১২টি মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে বড় অঙ্কের অর্থ জব্দও করে রেখেছেন দেশটির আদালত। তবে এসব মামলার অগ্রগতি খুবই মন্থর।

আর ঘটনার তিন বছর পর ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা করে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে করা মামলায় ফিলিপাইনের পাঁচটি আর্থিক ও ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠান, দেশটির ১২ জন, ৩ জন চীনা নাগরিকসহ মোট ২০ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয়।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close