দেশজুড়ে
রাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও, টাকা দাবি: ধর্ষক রিমান্ডে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এক ছাত্র মাহফুজুর সারদ (২২) তার সহপাঠীকে মেসে ডেকে এনে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় তার বন্ধুদের দিয়ে ভিডিও ধারণ করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ধর্ষক মাহফুজুর সারদ। এ ঘটনায় ছাত্রী ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মেসে ডেকে এনে ধর্ষণ করে সারদ। পরে, বন্ধুদেরকে দিয়ে ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে সারদ। পরে, ওই ছাত্রী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মতিহার থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষক মাহফুজুর সারদকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, গত ২৪শে জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনিতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহফুজুর সারদ (২২) তারই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বান্ধবীকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কাজলা সাঁকপাড়া এলাকায় তার মেসে ডেকে এনে ধর্ষণ করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সারদের বন্ধু নগরীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যায়ের আইন বিভাগের ছাত্র প্লাবন সরকার, রাফসান, জয়, জীবন এবং বিশালকে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। ধর্ষণের পরে ওই ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। তাদের দাবি করা টাকা না দিলে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও হুমকি দিয়ে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেয় তারা। ধর্ষণের শিকার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানান।
গত ২৭শে জানুয়ারি দুপুরে ধর্ষণের শিকার রাবির ওই ছাত্রীর বাবা ও মাকে নিয়ে রাজশাহীর মতিহার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পরেই মতিহার থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মাফুজুর সারদ (২২) এবং তার দুই বন্ধু প্লাবন তালুকদার (২১) এবং রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রাফসান (২২) কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পরে তাদের কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল উদ্ধার করে।
এদিকে, গতকাল রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ধর্ষক মাফুজুর সারদের দুই বন্ধু জীবন (২৫) এবং জয় (২২)কে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের মধ্যে শুধু বিশাল নামের এক আসামি পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় মেসের মালিক হাসান জানান, তিন মাস আগে ওই ছাত্রদের বাড়ি ভাড়া দেয়া হয়। কিন্তু, ভাড়া দেয়ার এক মাস পরে তাদের আচরণ সুবিধাজনক মনে না হওয়ায় তাদেরকে রুম ছেড়ে দিতে বলা হয়। তখন, তারা অনুরোধ করে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত থেকে বাড়ি ছেড়ে দিতে চায়। এর মধ্যে এমন ঘটনার কথা জানতে পারেন মেসের মালিক।
/এএস