দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ট্রানজিট চুক্তির প্রথম চালান নিয়ে গেলো ভারত

ট্রান্সশিপমেন্ট ফি প্রতি মেট্রিক টনে মাত্র ২০ টাকা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভারত-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির পরীক্ষামূলক প্রথম চালান নিয়ে গেলো ভারত। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যগুলো ভারতের ত্রিপুরার আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা করে। এ জন্য নির্ধারিত মাশুল ও ফি পরিশোধ করেছে ভারত। তবে পরীক্ষামূলক চালান হওয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কোনো ফি আদায় করেনি। চালানটিতে ছিল রড ও ডাল বোঝাই চারটি কন্টেইনার। আগরতলা স্থলবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে কন্টেইনার বোঝাই চারটি ট্রেইলার গ্রহণ করেন ত্রিপুরা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

কন্টেইনার বোঝাই প্রতিটি ট্রেইলারে জীবাণুনাশক স্প্রের মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করে বন্দরে ঢোকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরীক্ষামূলক এই ট্রানজিট পণ্যচালানের জন্য আগেই ফি নির্ধারণ করে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও চুক্তি) আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে জানা গেছে, প্রতি চালানের জন্য ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি প্রতি ৩০ টাকা, ট্রান্সশিপমেন্ট ফি প্রতি মেট্রিক টনে ২০ টাকা, সিকিউরিটি চার্জ প্রতি মেট্রিক টন একশ টাকা, অ্যাসকর্ট চার্জ প্রতি মেট্রিক টন ৫০ টাকা, বিবিধ প্রশাসনিক চার্জ প্রতি মেট্রিক টন একশ টাকা, কন্টেইনার স্ক্যানিং ফি প্রতি কন্টেইনার ২৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ইলেকট্রিক লক অ্যান্ড সিল ফি হিসেবে বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ দিতে হবে।

২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে সম্পদিত ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভম্যান্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া’ চুক্তির আওতায় এবং ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর উভয় দেশের মধ্যে সাক্ষরিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুযায়ী বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশে পণ্য পরিবহন শুরু করেছে ভারত। পরীক্ষামূলক প্রথম চালান হিসেবে চারটি কন্টেইনারে করে ৫৩.২৫ মেট্রিক টন রড ও ৪৯.৮৩ মেট্রিক টন ডাল নিয়ে গত ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ‘সেঁজুতি’ নামের একটি জাহাজ। এ জাহাজটি গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে নোঙর করে।

ম্যাংগো লাইন লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক সোহেল খান বলেন, পণ্যগুলো আগরতলায় পৌঁছাতে পেড়ে আমরাও আনন্দিত। এর মাধ্যমে দুইদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও উন্নতি হবে বলে মনে করি।

আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশীদ জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের চুক্তির আওতায় প্রথম চারটি কন্টেইনার আগরতলায় গেছে। এর জন্য মাশুল এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে প্রসেসিং হয়েছে।

আগরতলা কাস্টমস সুপারিন্টেনডেন্ট জয়দীপ মুখার্জি জাননা, ট্রানজিট চালানের মাধ্যমে দুইদেশের ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল পরিবহন করে ভারত সরকার।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close