আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

আশুলিয়ার সেই অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারের আশুলিয়ায় থেকে পুলিশ পরিচয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নেয়া ব্যবসায়ীকে ৫ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী নারীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামীদের ১০ দিনে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়, এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) মিজানুর রহমান। এরআগে অভিযান চালিয়ে তাদের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের জিম্মা থেকে উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে।

গ্রেপ্তার আসামীর হলেন-যশোর জেলার মনিরামপুর থানার কেরতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তার গাজীর ছেলে কেরামুন হোসেন সম্রার্ট(৩৪), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার ধাউরা নয়াপাড়ার মৃত হাজী খবীর উদ্দীনের ছেলে আঃ আউয়াল (৫০) চালক, একই থানার আন্দুরার মৃত আঃ রশিদের ছেলে মোঃ বাবুল মিয়া(৫০), পেকুরা গ্রামের নজমত আলীর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম(৫১) ও তার স্ত্রী খাদিজা (৩৮) ও একই জেলার বাসাইল থানার দাপনাজোর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া(৩৮)।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার পশ্চিম কলিয়া গ্রামের পান্নু মিয়ার ছেলে। বর্তমানে আশুলিয়ার বাইপাইলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন ও ফার্ণিচার ব্যবসা করেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান বলেন, গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা আমি আমার ফার্ণিচার প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলাম। এরমধ্যে ৫ জন লোক ক্রেতা সেজে মালামাল দেখছিলো। এরপর হঠাৎ করে তারা আইনের লোক বলে আমাকে টেনে হিচড়ে হাইয়েচ মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। আমাকে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে মারধর করে ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করায়। আমার স্ত্রীকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবী করে। এছাড়া আমার কাছে টাকা পাবে এই মর্মে স্টাম্পেও স্বাক্ষর নেয়। গ্রেপ্তার নারী খাদিজা আমার পূর্ব পরিচিত ও দুর সম্পর্কের আত্নীয়। তারা তুলে নিয়ে গেলে পরে ওই নারীকে দেখতে পাই।

এঘটনায় ২৫ নভেম্বর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর মা রুবি বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তাদের ৬জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার দুপুর আদালতে পাঠানো হয়।

এদিকে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে পূর্ব আর্থিক পাওনা-দাওনার কোন সূত্রপাত রয়েছে কিনা? সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখার কথা জানায় পুলিশ।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী করমকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই আল মামনু কবির বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে আমরা অভিযান শুরু করি। প্রযুক্তির সহযোগিতা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধামরাই, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর ও মির্জাপুরে অভিযান করি। প্রথমে গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার করি। তারপর তার তথ্যমতে বাকীদের মির্জাপুর থানার পিছনে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গ্রেপ্তার করি। তারা মুলত প্রায় ৩ মাস ধরে তারা এই ব্যবসায়ী তুলে নেয়ার পরিকল্পণা করে। সে অনুযায়ী তাকে হাইয়েচ মাইক্রোবাস নিয়ে এসে ফিল্মি কায়দায় পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। তারা ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর পূর্ব পরিচিত।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close