আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

আশুলিয়ায় আবারও ভূমিদস্যু মতিনের কান্ড; জায়গা দখল নিয়ে গোলাগুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও র‌্যাবের দল। মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকার উষাপল্ট্রি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পায়। এ সময় ভয়ে কেউ বের হয়নি। তবে বাইরে এখনো বেশ কয়েকটি গুলির খোসা পড়ে আছে। আমরা খুবই আতঙ্কিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এমএ মতিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন মানুষের জমি দখল করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলাও চলমান রয়েছে। তিনি ওই এলাকায় ভূমিদস্যু মতিন নামেই পরিচিত।

উষা পল্ট্রি মোড়ের এক চা দোকানদার বলেন, গোলাগুলির ঘটনা এখানে নতুন নয়। প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে।

প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী রহিম খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার জমি দখল করে মতিন বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের প্রস্তাবিত জায়গার সাইনবোর্ড দেন। তার কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। তারপরও তিনি এই জায়গা দখল করে রয়েছেন। আজ আমার লোকজন জায়গায় কাজ করতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন এমএ মতিন। তবে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। আমার প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গত ২২ জুন জায়গা থেকে মতিনের নেতৃত্বে আমাদের লোকজনকে জোর করে বের করে দেন। পরে বিষয়টি লিখিত ভাবে পুলিশের উর্বধতন কর্মকর্তা জানালে সাভার সার্কেল অতিরিক্তি পুলিশ সুপারকে তদন্তভার দেন। পরে সার্কেল অফিসে কাগজপত্র নিয়ে গেলেও মতিন কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সেই জায়গায় আনসার নিয়োগ হলেও আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে আনসার প্রত্যাহার করা হয়। পরে আমরাদের মিস্ত্রীরা সেই জায়গায় ছোট গেট নির্মানের কাজ করতে গেলে শ্রমিকদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি করে। ভয়ে ছুটে পালিয়ে আসে কাজ করা শ্রমিকরা। আমাদের এখানে ৭ একর ৬০ শতাংশ জায়গা রয়েছে। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবো।

আপনাদের পক্ষ থেকে গুলি বা হামলা করা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জাবাবে দোলোয়ার হোসেন জানান, আমাদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি। গুলি করা তো দুরের কথা। মতিনের আতঙ্কে থাকে পুরো এলাকাবাসী। সেখান দিনমজুররা কিভাবে হামলা করবে।

এ ব্যাপারে এম এ মতিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close