আশুলিয়াদেশজুড়েপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

ইউপি সদস্য কারাগারে: ফেসবুকে অপপ্রচারে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় মাদক ব্যবসায়ী এক পরিবারের সাজানো মামলায় ফাসানো হয়েছে এক ইউপি সদস্যকে। এমন অভিযোগে ফুসে ওঠতে শুরু করেছে এলাকাবাসী।

আশুলিয়া থানাধীন পাথালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার শফিউল আলম সোহাগের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিতে ও ফেসবুকে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১২ আগস্ট)দুপুরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

জুম্মার নামাজ শেষে পূর্বে ঘোষণা অনুযায়ী ওয়ার্ডের বিভিন্ন মহল্লা থেকে খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে বিভিন্ন বয়ষের নারী পুরুষ জড়ো হতে থাকে।এরপর হাজার হাজার নারী পুরুষের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিক্ষুব্ধ হাজারো মানুষ।

এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বিভিন ওয়ার্ড মেম্বার, মুক্তিযোদ্ধা, স্থানিয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছারলীগ নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

এসময় বক্তারা বলেন, দুই দুই বারের বিপুল ভোটে নির্বাচিত মেম্বার শফিউল আলম সোহাগ মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এক পরিবারের সাজানো অভিযোগে আশুলিয়া থানা পুলিশ ফোন করে মেম্বারকে থানায় ডেকে নিয়ে আটক করে এসময় তার সাথে থানায় আসা ৭ জন কেও আটক করে। পরেদিন সকালে মামলা নথিভুক্ত করে মেম্বারসহ ৮ জনকে আদালতে পাঠায়। একজন জনপ্রতিনিধি তার এলাকায় মাদক নির্মূলে কাজ করায় এভাবে মাদক করবারিদের মামলায় কারাবাস করবে এটা জাতি ও সমাজের জন্য কলঙ্কিত অধ্যায়।

বক্তারা আরো বলেন, কিছু ভুয়া সাংবাদিক টাকা খেয়ে মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষ নিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে ফেসবুকে মেম্বারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা একজন মূলধারার সাংবাদিক কখনো এমন অবান্তর লেখালেখি করবেনা। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি মূলধারার সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান আছে আমাদের।

এসময় বক্তারা মাদক ও ভুয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এলাকা থেকে মাদক নির্মূলে আমরা এলাকাবাসী একাট্টা হয়েছি। দেখি কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় মাদক ব্যবসা চলে। পাশাপাশি শফিউল আলম সোহাগসহ সাজানো মামলায় গ্রেফতার সকলের অনতিবিলম্বে নিঃস্বার্থ মুক্তি দিতে হবে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৯আগস্ট) পাথালিয়া ইনিয়নের নিরিবিলি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন উঠতি বয়সের ছেলেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এঘটনায় নিরিবিলির আব্দুল জলিলের ছেলে তৌহিদসহ কয়েকজন মিলে ইমন নামের একজনকে মারধর করেবাড়িতে আটকিয়ে রাখে। এমন খবর পেয়ে শফিউল আলম সোহাগ মেম্বার আশুলিয়া থানার এক এসআইকে বিষয়টি অবগত করে ছেলেটিকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে নিজেই যায়। ওই ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে চলে আসার সাথেসাথে জলিলের স্ত্রী অর্থাত তৌহিদের মা বকুল বেগম বাদি হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেম্বারকে থানায় ডেকে এনে মেম্বারসহ আটজনকে আটক করে পুলিশ। পরেরদিন অভিযোগটি নিয়োমিত মামলা হিসেবে রুজু করে গ্রেফতার দেখিয়ে আসামীদের থানা থেকে আদালতে পাঠান ।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close