দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা; চালকসহ ২ সহযোগী গ্রেফতার

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে দুই সহযোগীসহ ধরা পড়েছেন বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) গাড়ি চালক আলমগীর।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

গ্রেফতার আইএইচটি’র গাড়ির চালক মো. আলমগীর শরীফ (৫৫) বরিশাল নগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন গনপাড়া তিলক এলাকার কাঞ্চন আলী শরীফের ছেলে এবং তার সহযোগীদ্বয় হলো আইএইচটি’র ছাত্র অনুপম পাল আকাশ ও সৌরভ বিশ্বাস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ আগস্ট দুপুর পৌনে ১টার দিকে বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির গাড়ির চালক আলমগীর শরীফ তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে গোয়েন্দা পুলিশকে একটি মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয় এবং জানায় ওই মোটরসাইকেলে ইয়াবা আছে।

খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নগরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন চার্জ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় আলমগীরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী একটি মোটরসাইকেল থামানো হয় এবং সেটির সিট কাভারের সামনের দিকের কাটা অংশের ভেতর থেকে ৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

ইয়াবা উদ্ধারের পাশাপাশি মোটরসাইকেলের চালক আইএইচটি’র হিসাবরক্ষক মঈন উদ্দিন আহাম্মেদকে (৩৭) আটক করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ওইদিনই কোতয়ালি মডেল থানার মামলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

যে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পরে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিনের ওপর। তিনি তদন্তে নেমে জানতে পারেন, ডিবি পুলিশকে দেওয়া তথ্যের সংবাদদাতা আলমগীর শরীফ এবং তার দুই সহযোগী আইএইচটি’র ছাত্র অনুপম পাল আকাশ ও সৌরভ বিশ্বাস পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হিসাবরক্ষক মঈন উদ্দিন আহাম্মেদকে ফাঁসিয়েছেন। ফাঁসানোর জন্য তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের সিট কভার কেটে চালক আলমগীর শরীফ ও তার দুই সহযোগী ওই ইয়াবা ট্যাবলেট রাখে।

পরবর্তীতে ডিবির এসআই হেলাল উদ্দিন তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে আলমগীর শরীফ, অনুপম পাল আকাশ ও সৌরভ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আদালতে পাঠায়।

পরবর্তীতে আলমগীর শরীফ তার দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দেন বলে জানান এসআই হেলাল উদ্দিন।

এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আইএসটির ড্রাইভার আলমগীরের বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন কাজের হিসেব থেকে ২৫ শতাংশ ঘুষ নিত হেড ক্লার্ক মঈন উদ্দিন আহম্মেদ। তাই হেড ক্লার্কের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার ক্ষতি করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকেন আলমগীর। সম্প্রতি আইএসটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিরোধ হয় হেড ক্লার্ক মঈন উদ্দিনের। এতে সুযোগ হয়ে যায় ড্রাইভার আলমগীরের।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close