করোনাজীবন-যাপনপ্রধান শিরোনাম

করোনার জীবন চক্র উদ্ভাবনকারী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী যা বললেন

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বাংলাদেশে কোভিড নাইনটিন নিয়ে সঠিক ধারণা পেতে নতুন নতুন নমুনা নিয়ে গবেষণা করা দরকার বলে মনে করেন, অনুজীব বিজ্ঞানী সমীর সাহা। কোভিড নাইনটিনের জীবন চক্র উদ্ভাবন করা এই বিজ্ঞানী বলছেন, কয়েক দফায় ভোল পাল্টানো এ ভাইরাসের স্বরূপ জানতে আরও সময় লাগবে।

২০১৭ সালে ইউনেস্কোর কার্লোস জে ফিনালে পুরস্কার জিতে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসেন অনুজীব বিজ্ঞানী বাংলাদেশের সমীর সাহা। ব্যাকটেরিয়ার রোগ ছড়ানোর কৌশল নিয়েই মূলত গবেষণা তার। সঙ্গে পেয়েছেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা, চ্যান জুকারবার্গ বায়োহাবের মতো দাতব্য প্রতিষ্ঠান। মেয়ে সেঁজুতি সাহাকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
এবার কোভিড নাইনটিনের জিনোম সিকোয়েন্স করে আবার আলোচনায় সিএইচআরএফ। বাংলাদেশ এখন জানতে পারবে এদেশে ছড়ানো করোনাভাইরাসের উৎস, গতি প্রকৃতি। তাই এবারের যুদ্ধটা হবে এক ধাপ এগিয়ে থেকে।

অনুজীব বিজ্ঞানী ডা. সমীর কুমার সাহা বলেন, সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য রোগটা যে কমাতে পারব-এ রকম চিন্তা নেই। এতে আসলে আমরা ভাইরাসটির গতিবিধি জানতে পারব। এটাও কোনো একসময় আমাদের সাহায্য করবে। তাই অনুজীব বিজ্ঞানী ডা. সমীর কুমার সাহার কাছে প্রশ্ন ছিল এদেশে ছড়ানোর পর নিজেকে কতটা পাল্টে ফেলেছে কোভিড নাইনটিন।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় না আমাদের দেশের ভাইরাসগুলো কম শক্তিশালী। কারণ এটির কোনো প্রমাণ মেলেনি। অন্যকোনো দেশেও প্রমাণ মেলেনি। যে পার্থক্যটা দেখছি এটা কালচার পার্থক্যের কারণে হয়তো। অথবা আমাদের ফুড অভ্যাস, ভেতরে ইমিউনিটি শক্তিশালী তাই এ পার্থক্য। তবে শতভাগ সুফল পেতে আরও বিস্তর গবেষণার দরকার বলে মত অনুজীব বিজ্ঞানী ডা. সমীর কুমার সাহার।

তিনি বলেন, আমাদের আরও বেশি বেশি করে সিকোয়েন্সিং করতে হবে। যত বেশি নমুনা পাবো তত বেশি জানতে পারবো। কারণ অল্পকিছু নমুনা নিয়ে কাজ করলে সেটির ফলাফল ঠিক নাও হতে পারে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close