বিশ্বজুড়ে

ক্ষমা চাইলেন মোদি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় টানা ২১ দিনের লকডাউনে রয়েছে ভারত। বন্ধ রয়েছে ব্যবসা ও কাজ। প্রতিদিন বাড়ছে অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষতির পরিমাণ। যথাযথ পরিকল্পনা না করে এমন লকডাউন জারি করায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত সরকার। এমতাবস্থায়, দেশের দরিদ্র শ্রেণির কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

খবরে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় গত মঙ্গলবার তিন সপ্তাহের জন্য পুরো দেশ লকডাউনের ঘোষণা দেন মোদি। এই লকডাউনে ব্যাপক আকারে ক্ষতির শিকার হয়েছেন দেশটির অসংখ্য দরিদ্ররা। অনেকে খাবারের অভাবে ভুগছেন।

রোববার রেডিওতে দেয়া এক বক্তব্যে মোদি বলেন, আমি প্রথমে আমার সকল দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। দরিদ্ররা নিশ্চিতভাবেই ভাবছেন, এটা কেমন প্রধানমন্ত্রী, যিনি আমাদের বিপদে ঠেলে দিয়েছেন। তিনি জনগণকে পরিস্থিতি বোঝার আহ্বান জানান। বলেন, এছাড়া আর কোনো অপশন নেই। এসব পদক্ষেপ করোনার বিরুদ্ধে ভারতকে জয় এনে দেবে।

বৃহস্পতিবার মোদি সরকার ২ হাজার ২৬০ কোটি ডলারের সহায়তা বিলের ঘোষণা দিয়েছে। এই বিলের আওতায় দরিদ্রদের কাছে নগদ অর্থ ও খাদ্য পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এর বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য দেয়া হয়নি।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক মতামত কলামে গত বছর অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অভিজিৎ ব্যানার্জি ও এস্থার দাফলো লিখেন, দরিদ্রদের জন্য আরো সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া, চাহিদা সংকট বেড়ে অর্থনীতিতে ধস নামতে পারে। মানুষের কাছে তখন নির্দেশ অমান্য করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

করোনা মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপের প্রতিও অনেক ভারতীয়র তীব্র সমর্থন রয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষক, বিরোধী নেতা ও নাগরিকদের মধ্যে অনেকে কঠোর পদক্ষেপের বাস্তবায়ন নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৯৭৯ জন। মারা গেছেন ২৫ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠোর লকডাউনের কারণে ভাইরাসটির সংক্রমণ কমবে। তবে অর্থনৈতিক ধস দরিদ্র গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। মুম্বইয়ের ধারাবি বস্তির বাসিন্দা ও রাজমিস্ত্রী আমিরবি শেখ ইউসুফের (৫০) কথায় এ ক্ষোভ ফুটে উঠে। তিনি রয়টার্সকে বলেন, আমাদের কাছে কোনো খাবার নেই, পানীয় নেই। আমি বসে বসে ভাবছি, নিজের পরিবারকে কীভাবে খাওয়াবো। এই লকডাউনের কোনো ভালো দিক নেই। মানুষ ক্ষোভান্বিত। কেউ আমাদের দিকে খেয়াল করছে না।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close