দেশজুড়ে

চলন্ত বাসে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, ২ হেলপার গ্রেফতার

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ গাজীপুরের শ্রীপুরের চলন্ত বাসে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুই পরিবহন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হল, দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার আমড়া গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে জুয়েল (২৮) ও নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার চন্দনকান্দি গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে আশিক (২২)। তারা দুজনেই চালকের সহকারী (হেলপার)।

তবে বাসচালক হারুন মিয়া পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। এ সময় চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের একটি বাস (ঢাকামেট্রো-জ-১৪-০৪৯৩) জব্দ করেছে পুলিশ।

কিশোরীর বরাত দিয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, ওই কিশোরী রাজধানী ঢাকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে বিনোদনমূলক শর্টফিল্ম ও ছোট নাটিকাসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে একটি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর-মাওনা রুটে চলাচলকারী চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের একটি বাসে ওঠে। কিছুদূর আসার পর হেলপাররা অন্য যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেয়। এ সময় বাসের চালক জানায়, তাদের সমস্যা থাকলেও ওই কিশোরীকে তারা গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।

পরে বাস নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কিশোরীকে গন্তব্যে না নামিয়ে মাওনা চৌরাস্তার উড়াল সেতুর ওপর বাসের ভেতর কিশোরীকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় তারা। এ সময় ওই কিশোরী পা দিয়ে বাসের জানালার কাচ ভেঙে চিৎকার শুরু করে। পথচারীরা বিষয়টি টের পেয়ে মাওনা হাইওয়ে পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থল গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার এবং দুই পরিবহন শ্রমিককে আটক করে। তবে বাসটির চালক পালিয়ে যায়। পরে শ্রীপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে শনিবার রাতেই থানায় মামলা করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close