দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

চাঁদাবাজ চক্রের ২৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের ২৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। গতকাল রোববার (১৯ ডিসেম্বর) জেলার কোতোয়ালি, বুড়িচং, বরুড়া, দেবিদ্ধার, লাকসাম, মুরাদ নগর, বি পাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ৩২৫টি রশিদ ও নগদ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২।

এদিকে আজ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে র‍্যাব।

র‌্যাব জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি, মিশুক, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের কাছে থেকে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছিল। এসব পরিবহন চাঁদাবাজরা সরকার নির্ধারিত স্ট্যান্ড ছাড়া অননুমোদিত স্থান থেকে এবং উপজেলা কর্তৃক ইজারাকৃত জায়গায় নির্ধারিত টাকার পরিমাণের চেয়ে বেশি টাকা জোরপূর্বক হাতিয়ে নিচ্ছে।

পরিবহন চালকরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এসব চাঁদাবাজরা চালকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে আঘাত করে চাঁদা আদায় করে যা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বর্তমান সময়ে এসব চাঁদাবাজদের এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে বলেও জানায় সংস্থাটি।

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা ক্যাম্পে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপজেলা এবং থানা থেকে ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে মৌখিক এবং লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার তোফাজ্জল হোসেন (৩২), কাজি মো. আল মামুন (২৮), মো. টিপু সুলতান (২৮), আসাদুল (২২), দেবিদ্বার উপজেলার মো. মবিন (২১), মো. মফিজুল ইসলাম (২৮), মো. ইব্রাহিম খলিল (২৫), মো. আরমান (১৯), মো. ইব্রাহিম হোসেন (৩০), মো. শহিদুল হোসেন, সাদ্দাম হোসেন (২৭), বরুড়া উপজেলার শাহজাহান (৪৪), মো. সোহেল হোসেন (৩২), মো. মহিন উদ্দিন (৩২), আবুল কালাম আজাদ (৩২), সদর দক্ষিণ উপজেলার মো. সবুজ (১৯), বুড়িচং উপজেলার মো. রাকিব হোসেন (২৩), মো. মামুনুর রশিদ (৩২), মো. ওহিদ মিয়া (৫০), মো. রুবেল(৩২), মো. জালাল হোসেন (৩১), মো. নূর উদ্দিন (৩২), মো. শফিকুল ইসলাম রুবেল (২৫), মো. জাহিদ (২৬), মো. মোস্তফা (৩২), মো. শরীফ (৩১), মো. ফারুক (২৮), মুরাদ নগর উপজেলার মো. শাহ আলম (২৬)।

র‌্যাব-১১, সিপিসি-২-এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা অভিযোগের দায় স্বীকার করেছে। ওই বিষয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close