বিশ্বজুড়ে

চীনের নতুন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র, ৩০মিনিটেই যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতাগ্রহণের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি অত্যাধুনিক হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে চীন। এর আগে ইতিহাসের অন্যতম বড় সামরিক কুচকাওয়াজ ও নিজেদের তৈরি বিপুল সমরাস্ত্রের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ডংফেং-৪১ নামের বিশাল পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়েছে।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়ানয়ানমেন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। ১৯৪৯ সালের এ দিনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসে।

আজকের কুচকাওয়াজের প্রধান আকর্ষণ ছিল ডংফেং-৪১ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই প্রথম এটি জনসম্মুখে দেখানো হলো। ক্ষেপণাস্ত্রটি একই সঙ্গে ১০টি পরমাণু ওয়ারহেড বহন করতে পারে এবং একইসঙ্গে দশটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। ডংফেং-৪১ মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে থেকে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতি ঘণ্টায় ৭,৬০০ মাইল বেগে চলতে পারে।

ডংফেং-৪১ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১৫ হাজার কিলোমিটার এবং বলা হচ্ছে এটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এ ক্ষেপণাস্ত্রের গতি শব্দের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি। চীনা ডংফেং শব্দের অর্থ হচ্ছে পূবালী বাতাস বা পূবের হাওয়া।

আজকের কুচকাওয়াজে চীনের ১৫ হাজার সেনা, ১৬০টির বেশি বিমান এবং ৫৬৮টি সামরিক সরঞ্জাম অংশ নেয়। কুচকাওয়াজে সুপারসনিক ড্রোন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রোবট চালিত সাবমেরিন দেখানো হয়েছে।

তবে ডংফেং-৪১ ক্ষেপণাস্ত্রের উপস্থিতি সমস্ত সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়। ডংফেং-৪১ ক্ষেপণাস্ত্রের আগে চীন ডংফেং-৩১ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে যার পাল্লা ১১ হাজার ২০০ কিলোমিটার এবং এটিও আমেরিকায় আঘাত হানতে সক্ষম।

 

/আরকে

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close