দেশজুড়ে

ডোপ টেস্টের জন্য হাসপাতাল ঘুরে হয়রান চালকরা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ পেশাদার মোটরযান চালকদের ডোপ টেস্ট করাতে সময় লাগছে চার মাস। হাসপাতালে আছে কিট ও জনবল সংকট। অনেক জেলায় এখনো শুরু হয়নি কার্যক্রম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বিআরটিএ। আগামী জুনের আগেই সংকট কেটে যাওয়ার আশায় সরকারি সংস্থাটি।

পেশাদার গাড়িচালক শাহবুদ্দিন আহমেদ গত দুই মাস রাজধানীর মানসিক ইনস্টিটিউটে ঘুরে ঘুরে ডোপ টেস্ট করিয়েছেন। দীর্ঘ সময় পর তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে রিপোর্ট পেয়েছেন সঙ্গে গুনতে হয়েছে সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে অতিরিক্ত।

তার এই অভিজ্ঞতার সঙ্গে অধিকাংশ চালকই একমত। এরপরও রিপোর্টের স্বচ্ছতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

স্যাম্পল দেওয়ার বুকিং পাওয়া নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। মানসিক ইনস্টিটিউটে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত পরীক্ষার জন্য বুকিং খালি নেই। ঢাকায় ছয়টি হাসপাতালের মধ্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরোটরিতে পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে ১২০ জনের। বাকি হাসপাতালে ৪০-৫০ জন করে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে পেশাদার চালক রয়েছে ১৫ লাখ। এর মধ্যে অনেক জেলায় এখনো শুরু হয়নি ডোপ টেস্ট। বিআরটিএর সঠিক পরিকল্পনা না থাকা এবং মাদক পরীক্ষার বিষয়ে ভালো ধারণা না থাকায় শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে কার্যক্রম।

বুয়েটের অ্যাকসিডেন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, সরকার হাসপাতালগুলোকে অনুমোদন দিয়েছে ডোপ টেস্ট করানোর জন্য। কিন্তু তাদের সক্ষমতা নেই। ফলে ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এতে প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ার অবস্থায় এসেছে।

তিনি বলেন, ডোপ টেস্ট করা গেলে সবার জন্য ভালো হবে। বিশেষ করে টার্মিনালে এটা করা গেলে সবচেয়ে ভালো হবে। এতে চালক বাস নিয়ে বের হওয়ার সময়ই তিনি উপযুক্ত কি না তা বোঝা যাবে।

যদিও বিআরটিএ বলছে, সংকট সমাধানে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের ক্লিনিকগুলোতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, জুনের আগেই কিট সংকট কেটে যাওয়ার আশা তাদের।

সংস্থাটির পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব ই রব্বানী বলেন, আমরা সক্ষমতা অনুযায়ী টেস্ট করছি। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের সঙ্গেও কথা হচ্ছে তাদের মধ্যেমে গুণগতমান ধরে রেখে টেস্ট করা যায় কি না। আশা করছি সমস্যার সমাধান হবে।

চলতি বছর ৩০ জানুয়ারি সারাদেশে একযোগে চালকদের ডোপ টেস্ট শুরু করে বিআরটিএ।

চালকরা মাদকাসক্ত কি না, সেই পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরও চালকদের মধ্যে যেভাবে সাড়া পড়েছে সেই হারে হয়নি পরীক্ষা, উল্টো নতুন করে সেই সার্টিফিকেটের জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাইসেন্স প্রাপ্তিতে আধুনিক এবং সহজলভ্যতা করতে না পারলে, অবৈধ চালকের সংখ্যা বাড়তে পারে।

ঢাকা অর্থনীতি/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close