দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে নাচ-গান নয়-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ইংরেজি নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে উন্মুক্ত স্থানে নাচ-গানের আয়োজন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সব ধরণের অস্ত্র বহন ও প্রদর্শনও নিষিদ্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন বড়দিন উদযাপন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বড়দিন যাতে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারে ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে যেন কোন প্রকার উশৃঙ্খলতা পরিবেশ নষ্ট না করতে পারে সেজন্য সভা করেছি। বড়দিন উদযাপনে সংশ্লিষ্ট চার্চের সঙ্গে সমন্বয় করে সারাদেশের প্রায় ৩ হাজার ৫শ চার্চের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী কাজ করবে। তেজগাঁও, কাকরাইল, মিরপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ চার্চে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। চার্চ গুলোতে সিসি ক্যামেরা, মেটাল ডিটেকটরসহ অন্যান্য ব্যবস্থা থাকবে।’

পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থাকবে। তারা সকল জায়গায় যোগাযোগ রাখবে। চার্চের একজন করে ফোকাল পয়েন্ট থাকবে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখবে। ২৪ থেকে ২৫ ডিসেম্বর চার্চে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। ২৫ ডিসেম্বর রাতে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। রামগঞ্জ, কালিঞ্জ, ময়মনসিংহ জেলা ও দক্ষিণাঞ্চলের খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।’

২৫ ডিসেম্বর বড় দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান তিনি।

থার্টি ফার্স্ট ও বড় দিন উপলক্ষে নাচ-গানের আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বড় দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে রাস্তা, ফ্লাইওভারে কনসার্ট ও নাচগানের আয়োজন করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে উন্মুক্ত স্থানে কোন নাচ-গানের আয়োজন করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশের সকল বার বন্ধ থাকবে। এরই মধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ভূবুজেলা বাজানো, পটকা ফোটানো এবং আতশবাজি করা যাবে না। ৩০ ডিসেম্বর বিকাল চারটা থেকে পহেলা জানুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ থাকবে।’

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কোন আশঙ্কা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কোনরকম আশঙ্কা নেই। আমি আগেই বলেছি, প্রতিটি বিশেষ দিন, বড়দিন, কিংবা জাতীয় দিবসে অথবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে আমরা এ ধরনের আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত আয়োজন করি যাতে দিবসগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সবাই পালন করতে পারেন।

/এনএ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close